—ফাইল চিত্র।
পেট্রলের দাম কমার লক্ষণ নেই। বরং দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের বাড়তে থাকা ক্ষোভ আর বিরোধীদের তোপের মুখে দাঁড়িয়ে আজ ফের বাড়ল তার দর। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে এক লিটার পেট্রল হল ১০১.৩৫ টাকা। আরও ৩৪ পয়সা বেশি। তবে প্রায় সাতাশি দিন পরে কমল ডিজেল। যদিও তা খুবই সামান্য। কলকাতায় লিটারে মাত্র ১৬ পয়সা। ফলে জ্বালানিটির দাম দাঁড়াল ৯২.৮১ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এক বছরে যে ডিজেলের দাম লিটার পিছু প্রায় ১৭ টাকা বেড়েছে, তার ১৬ পয়সা সস্তা হওয়া সমুদ্র থেকে এক বিন্দু জল তোলার মতো। তাতে কারওই বিশেষ লাভ হওয়ার কোনও কারণ নেই। বিশেষ করে পেট্রলের মতো ডিজেলের দামও যেখানে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্যে ‘সেঞ্চুরি’ দেখে ফেলেছে। কিছু কিছু জায়গায় ১০০ ছুঁইছুঁই। এর আগে মার্চ, এপ্রিল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের মরসুমেও তা ৭৪ পয়সা কমেছিল।
ডিজেলের দাম বাড়লে আমজনতার দৈনন্দিন জীবনে ধাক্কা লাগে সব থেকে বেশি। কারণ বাস, ট্যাক্সির মতো গণ-পরিবহণ চালানোর খরচ বাড়ে। খাদ্যপণ্য-সহ জিনিসপত্র সরবরাহ করতে ট্রাক মালিকদের অনেক বেশি টাকা গুনতে হয়। চাষের কাজে এবং কল-কারখানায় উৎপাদন করার ক্ষেত্রেও জ্বালানি খাতে বেড়ে যায় ব্যয়। যে কারণে বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ট্যাক্সির ভাড়া বহু জায়গায় বেলাগাম। বাজারে আনাজ, মাছ, মাংস, দুধের মতো খাদ্যপণ্য ও
আরও নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দরে আগুন। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, মাত্র ১৬ পয়সা দাম কমিয়ে লাগাতার দরবৃদ্ধির ক্ষোভে জল ঢালা যাবে না। বরং এই মুহূর্তে পেট্রল-ডিজেল, দুই জ্বালানিরই এক নাগাড়ে অনেকখানি দাম কমে যাওয়া দেখতে চান দেশবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy