শহিদ মিনার ময়দানে অমিত শাহের সভায় জনসমাগম। রবিবার মেয়ো রোডে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রবিবারের সভায় কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে যদুনন্দন কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তির ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এবং বিজেপি-কর্মীরা অবশ্য ওই ব্যক্তিকে আটকে দেন।
তখন বেলা ১টা। শাহ তখনও ময়দানের সভায় পৌঁছননি। মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতা। হঠাৎ সভার শহিদ মিনারের দিকের গেটে শোরগোল ওঠে।
জানা যায়, এক ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে সভায় ঢোকার চেষ্টা করছেন। তাঁকে আটকে দিয়েছেন বিজেপি-কর্মী ও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। যদুনন্দন নামে ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি বিজেপির সমর্থক। তাঁকে সভায় ঢুকতে দিতে হবে।
যদুনন্দন পুলিশকে জানান, তিনি সিআরপি-র প্রাক্তন জওয়ান। তাঁর সঙ্গে ছিল ওয়ানশটার পিস্তল। তার লাইলেন্স আছে। এ-সব দাবি সত্ত্বেও তাঁকে সভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানায়, যদুনন্দনের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লিতে। এ দিন ঘটনার পরে তাঁর বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, গত বছর লোকসভা ভোটের আগে পাড়ারই তৃণমূলকর্মীরা যদুনন্দনকে মারধর করে। এ বিষয়ে থানা ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। তার পরে থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন যদুনন্দন। তাই আত্মরক্ষার তাগিদে সব সময় লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রটি সঙ্গে রাখেন তিনি। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এ দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শাহের সভায় গিয়েছিলেন কেন?
‘‘আমি এর উত্তর দিতে বাধ্য নই। এখন বাইরে আছি। বাড়ি ফিরে কথা বলব,’’ ফোনে বলেন যদুনন্দন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy