ঘোকসাডাঙার রামঠ্যাঙায় এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পরিমল বর্মনকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ। মাথাভাঙা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার ১৮ দিন পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে পরিমলকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ তাকে হেফাজতে নিল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বনমন্ত্রী বিনয় বর্মনের বাড়ি কোচবিহারের মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙায়। সেই এলাকাতেই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীনেশ বর্মন-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে সালিশি করে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামীর উপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নজরে আসতে পুলিশ সুপার রাজেশ যাদবের নির্দেশে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ধৃতকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তের থেকে উদ্ধার করার মতো কিছু ছিল না বলেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা, জবানবন্দির পর অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হবে। এ দিন ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে।
পাশাপাশি, নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর স্বামীর অভিযোগ না নিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে ঘোকসাডাঙা থানার বিরুদ্ধে, মাথাভাঙা থানার সিআই শ্যামল চক্রবর্তীকে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কোচবিহার পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব। সিআই এ দিন ঘোকসাডাঙা থানার ওসি প্রশান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সুপার বলেন, “যতটুকু জানা গিয়েছে ওই দিন অভিযোগ জানাতে ধর্ষিতার পরিবারের কেউ থানার ভিতরে যাননি। পুলিশের কোনও ভুল পাওয়া যাচ্ছে না।” থানার পুলিশকর্মীদের এই বয়ানের সঙ্গে অবশ্য ধর্ষিতার স্বামীর কথা মিলছে না। তাঁর দাবি, তাঁরা ৬ মে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। এসপি জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। ‘‘জবানবন্দি থেকে যা বেরিয়ে আসবে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’’ বলেন রাজেশ যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy