ফাইল চিত্র।
হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন আমতা থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক, রাতের টহলদার ভ্যানের পুলিশকর্মী, হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোবাইল ফোনের ‘কল রেজিস্টার’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
ওই ঘটনায় ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য আগেই দাবি করেছেন, আমতা থানার ওসি-র নির্দেশে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁরা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও আনিসের বাড়িতে যাওয়ার বিষয়ে আমতা থানায় কোনও লিখিত নথি পাওয়া যায়নি বলে তদন্তকারী দল সূত্রের খবর।
ঘটনার রাতে ওই থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের মোবাইলে কাদের ফোন এসেছিল এবং কখন এসেছিল, টহলদার ভ্যানের পুলিশকর্মীদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন কী ছিল— তদন্তে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই যাচাইয়ের সূত্রে প্রীতম ও কাশীনাথের বক্তব্যের সত্যতাও অনেকটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ থাকায় সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের কর্তারা তদন্তের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। এক কর্তা শুধু জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই হাই কোর্টে সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই কারণে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আমতা ও বাগনান থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকায় আনিস সাধারণত দিনের বেলায় নিজের বাড়িতে আসতেন না। মাঝেমধ্যে রাতে বাড়িতে এসে ভোরে বেরিয়ে যেতেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি আনিস যে বাড়িতে আছেন, পুলিশ সেই খবর কোনও এক রাজনৈতিক কর্মীর কাছ থেকেই পেয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এক পুলিশকর্তার কাছ থেকেই আনিসের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ পৌঁছয় আমতা থানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy