মাদক পাচারে অভিযুক্ত পাঁচ চিনা নাগরিকের জেরা পর্বে উঠে এল এক চিনা মহিলার প্রসঙ্গ। বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাজিসাহা এবং নওয়াদায় চারকোল কারখানা তৈরির সময় থেকে ওই মহিলার সেখানে যাতায়াত। তাঁর যোগাযোগের সূত্রেই মুর্শিদাবাদে চিনাদের অন্তত তিনটি ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল বলে জেনেছে সিআইডি। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই কাজিসাহার কারখানায় আগুন লাগার পর থেকে সেই চিনা মহিলা বেপাত্তা।
এক সিআইডি-কর্তা জানান, বেলডাঙা থানার কাজিসাহা ও কালীতলার মাঝখানে যে-চারকোল কারখানা গড়ে উঠেছিল, সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই চিনা মহিলা। তিনি ওখানে থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে অনেক চিনা নাগরিক তাঁর কাছে আসতেন। কয়েক দিন থেকে আবার চলে যেতেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই আগুন লাগে সেই কারখানায়। তার পর থেকে সেই চিনা মহিলার খোঁজ নেই। চিনারা সেই কারখানা তখনই বেলডাঙা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় নওয়াদায়।
কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পরে পুলিশ ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট’ বা বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা করেছিল, কিন্তু তদন্ত বিশেষ এগোয়নি। ৪০ কোটি টাকার অ্যামফেটামাইন বা ইয়াবা ট্যাবলেট আটকের পরে ফের সেই মহিলার খোঁজ শুরু হয়েছে। সিআইডি সূত্র জানাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের কিছু স্থানীয় চাঁই চিনাদের সঙ্গে নানা ধরনের কাজকারবারে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।