হেফাজতে: খুনে অভিযুক্ত মনুয়া ও অজিত। নিজস্ব চিত্র
প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধরা পড়ার পরে মনুয়া মজুমদারের ভাবলেশহীন মনোভাব দেখে স্তম্ভিত উত্তর ২৪ পরগনার তাবড় পুলিশকর্তারাও।
বৃহস্পতিবার মনুয়ার কাছে পুলিশের প্রশ্ন ছিল, ‘‘স্বামীকে তো ডিভোর্সও দিতে পারতেন। খুন করলেন কেন?’’ পুলিশের দাবি, মনুয়া জানায়, ডিভোর্স দেওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ, মনুয়ার পরিজনেরা তার স্বামী অনুপম সিংহকে ভালবাসতেন। অনুপমও মনুয়াকে ভালবাসতেন। সম্প্রতি বারাসত পুরসভায় চাকরি পায় মনুয়া। এলাকায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার নামও ছিল। ডিভোর্স দিলে মনুয়ার সামাজিক ‘স্টেটাস’ নষ্ট হতো। তাই খুনের পথ বেছে নেয় সে ও তার প্রেমিক অজিত। তাদের ধারণা ছিল, টাকার জন্য অন্য কেউ খুন করেছে ভেবে পুলিশ বিভ্রান্ত হবে।
৩ মে হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতে খুন হন অনুপম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ধরা পড়েও মনুয়া এতটাই ঠান্ডা, যেন কিছুই হয়নি!’’ এ দিন মনুয়া ও অজিতকে ঘটনাস্থলেও নিয়ে যাওয়া হয়। কী ভাবে সে খুন করেছিল, পুলিশকে তা দেখিয়েও দেয় অজিত। খুনে ব্যবহৃত রড ও একটি ছুরি ঘটনাস্থলে মেলে।
মনুয়াই জানায়, সরল স্বভাবের অনুপম তাকে বিশ্বাস করতেন। খুনের আগে কয়েক দিন মনুয়া বাপের বাড়িতে ছিল। তখনও রোজ মনুয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন অনুপম। খুনের দিন মনুয়াই বলেছিল, ‘‘আজ আসতে হবে না। বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নাও।’’ আর খুনের পরে প্রেমিককে বলেছিল, ‘‘সেফলি ফিরো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy