Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভাটপাড়ায় বোমার ঘায়ে জখম পুলিশ 

বোমাবাজি নিয়ে বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার এক বিজেপি কাউন্সিলরের সঙ্গে পুলিশের গোলমালও হয়। তার জেরে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এব‌ং র‌্যাফের টহল থাকলেও কাঁকিনাড়ায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

 কাঁকিনাড়ার ঘোষপাড়ায় রাস্তা অবরোধ। তৎপর র‌্যাফ। বুধবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

কাঁকিনাড়ার ঘোষপাড়ায় রাস্তা অবরোধ। তৎপর র‌্যাফ। বুধবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৩
Share: Save:

১৪৪ ধারার মধ্যে বোমাবাজি থামাতে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে কাঁকিনাড়ায় জখম হলেন এক পুলিশকর্মী। ব্যারাকপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি। জখম এএসআই-এর নাম দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর পোস্টিং পুরুলিয়া জেলায়। কাঁকিনাড়ায় ডিউটি করার জন্য সপ্তাহখানেক আগে তিনি ভাটপাড়া থানায় এসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন এলাকার দুই বাসিন্দাও।

বোমাবাজি নিয়ে বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার এক বিজেপি কাউন্সিলরের সঙ্গে পুলিশের গোলমালও হয়। তার জেরে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এব‌ং র‌্যাফের টহল থাকলেও কাঁকিনাড়ায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বুধবারেও বাজার বন্ধ ছিল। স্কুল খোলা হলেও পড়ুয়াদের হাজিরা ছিল না বললেই চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সারা দিন তেমন কিছু না ঘটলেও রাত বাড়তেই বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। দীর্ঘদিন ধরেই ৫ ও ৬ নম্বর রেলওয়ে সাইডিং, বারুইপাড়া, নয়াবাজার উপদ্রুত হয়ে উঠেছে। টহলদারি-পুলিশ পিকেটিংয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। মঙ্গলবার রাতে ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিং এবং বারুইপাড়া এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। বোমার স‌্প্লিন্টার লাগে দেবদীপের ডান হাতের কনুইয়ে নীচে। জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুর বিএনবসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ওই এলাকারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর হাতে ১৬টি সেলাই পড়েছে।

বুধবার সকালে কাঁকিনাড়ার কলাবাগান এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলর মীনাদেবী যাদবের বাড়ির সামনে একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। মীনাদেবী সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা তা নিয়ে চিৎকার শুরু করেন। বোমা উদ্ধার করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এই অবস্থায় তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়— এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়েরা। কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি বেধে যায়। মীনাদেবীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মারধর করে। এর পরেই কাঁকিনাড়া কাছারিপাড়া এলাকায় ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দারা। ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ উঠে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE