Advertisement
১১ মে ২০২৪
North Dinajpur

রায়গঞ্জে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতকে জেরা করে অস্ত্র উদ্ধার পুলিশের

পুলিশ প্রায় নিশ্চিত যে, মহম্মদকে তাঁর ভাইপো সেকেন্দরই খুন করেছে।

আদালতে ধৃত সেকেন্দর।

আদালতে ধৃত সেকেন্দর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:০০
Share: Save:

রায়গঞ্জে তৃণমূল কর্মী মহম্মদ আলির খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়ার দাবি করল, উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। গত ২৭ জানুয়ারি মহম্মদের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল রায়গঞ্জের মহারাজা এলাকা থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে হাতে আসা বেশ কিছু ‘প্রমাণ’ দেখে তারা প্রায় নিশ্চিত যে, মহম্মদের ভাইপো সেকেন্দরই খুন করেছে।

খুনের অস্ত্রের সূত্র ধরেই এ ব্যাপারে সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে পুলিশের। আলিকে খুন করার জন্য ব্যবহৃত ৭.৬২ এম এম পিস্তলটি তারা খুঁজে পেয়েছে সেকেন্দরের বাড়ি থেকেই। ওই পিস্তল ব্যবহার করেই খুন করা হয়েছিল আলিকে। বুধবার সেকেন্দরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে অস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বাড়িতে অস্ত্রটি মাটি খুঁড়ে পুঁতে রেখেছিল সেকেন্দর। বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেকেন্দরের ভাই শাহেনশাও প্রত্যক্ষ ভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত বলে বুধবার জানিয়েছে রায়গঞ্জ পুলিশের জেলা সুপার সুমিত কুমার। যদিও তাকে জেরা করা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

২৬ জানুয়ারি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে পানিশালার কৃষ্ণমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ রায়গঞ্জে এসেছিলেন। কিন্তু পরের দিন ২৭শে জানুয়ারি তাঁর রাস্তা থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। সেদিনই জেলা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের সহযোগিতায় সেকেন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রায়গঞ্জ জেলা আদালত ১২ দিনের পুলিশি রিমান্ড দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ধৃত সেকেন্দরকে জেরা করে তার বাড়ি থেকে মাটি খুড়ে আজ একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি মৃত মহম্মদ এবং সেকেন্দারের ব্যবহৃত দু’টি মোটরবাইক উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, শরিকি জমি নিয়ে মহম্মদের সঙ্গে সেকেন্দারের পরিবারের বিবাদ চলছিল। আগে তাঁদের মধ্যে তেমন কোনও যোগাযোগ না থাকলেও কিছুদিন আগে থেকে কাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে তাঁর বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেছিল সেকেন্দার। ২৬শে জানুয়ারি রাতে মহম্মদকে ডেকে নিয়ে যায় সেকেন্দার ও তার ভাই শাহেনশা। এরপর তাকে মহারাজার ঝমঝমিয়ার মেঠো রাস্তায় নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বুধবার বলেন, ‘‘এই ঘটনায় অভিযুক্ত শাহেনশা পলাতক। তার সন্ধান পেতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তার খোঁজে অভিযান শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC raiganj North Dinajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE