Advertisement
১১ মে ২০২৪
Crime

শাশুড়ি-জামাইদের গ্যাং, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ ৩৫ লাখ!

এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ল শাশুড়ি-জামাইদের গ্যাং।

পুলিশের জালে শাশুড়ি-জামাইদের গ্যাং। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের জালে শাশুড়ি-জামাইদের গ্যাং। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ২০:১২
Share: Save:

শাশুড়ি আর দুই জামাই মিলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ করে দিল প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ল শাশুড়ি-জামাইদের গ্যাং।

জুন মাসের গোড়ার দিকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা অনুরাগ আগরওয়াল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অভিযোগ জানান, কেউ তাঁর মৃত বাবার এটিএম কার্ড চুরি করে নিয়েছে। সেই এটিএম কার্ড দিয়ে এ বছরের মার্চ মাস থেকে মে মাসের মধ্যে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে বাবা সত্যনারায়ণ আগরওয়ালের অ্যাকাউন্ট থেকে।

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায়, নদিয়ার করিমপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, হুগলির গুপ্তিপাড়ার বিভিন্ন এটিএম কিয়স্ক থেকে টাকা উঠেছে ওই সময়ের মধ্যে। সেই এটিএমগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, মূলত দুই যুবক ওই টাকা তুলছে। তবে তাঁদের মুখ মাস্কে ঢাকা, মাথায় টুপি। তাদের অনেকগুলো ছবি দেখেও প্রথমে গোয়েন্দারা ওই দু’জনের পরিচয় জানতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত করিমপুরের বিভিন্ন এটিএমে নজরদারি করে গোয়েন্দারা রঞ্জিত মল্লিক নামে স্থানীয় এক যুবককে পাকড়াও করে। তাকে জেরা করে হদিশ মেলে গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র সরকারের। জানা যায় এরা সম্পর্কে ভায়রাভাই।

তিন জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।—নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: মত্ত অবস্থায় বিছানায় রিয়াকে জড়িয়ে ধরেন সুশান্তের দিদি, বিস্ফোরক রিয়ার আইনজীবী​

আরও পড়ুন: ‘পিএম কেয়ার্স’-এর অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট​

ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ধৃতরা সত্যনারায়ণের এটিএম কার্ড পেয়েছে তাদের শাশুড়ি রীতা রায়ের কাছ থেকে। নদিয়ার কালীগঞ্জ থেকে রীতাকে পাকড়াও করার পর জানা যায়, সে সত্যনারায়ণ আগরওয়ালের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। সেই সময়েই সত্যনারায়ণের এটিএম কার্ডটি চুরি করে সে। বৃদ্ধ সত্যনারায়ণ কার্ডের উপরের কাগজের খামেই লিখে রেখেছিলেন পিন নম্বর। কার্ড আর পিন নম্বর জামাইদের দিয়ে দেয় রীতা। তার পর কিছু দিন অন্তর অন্তর টাকা তুলতে থাকে দু’জন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ওই তিন জনের বাড়িতে তল্লাশি করে মোট ২৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE