রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বেআইনি বাজি উদ্ধারের পুলিশি অভিযান। ফাইল চিত্র
এক লক্ষ কেজিরও বেশি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হল রাজ্য থেকে। গত ৬ দিনের পুলিশি অভিযানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই বাজি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে হাজার হাজার কেজি বারুদও।
ঠিক ৭ দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। তার পর রবিবার বজবজের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকেই রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয় বেআইনি বাজি উদ্ধারের পুলিশি অভিযান। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৪ হাজার ২৩২ কেজি ওজনের বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি শুধুই বাজির পরিমাণ। এ ছাড়াও বাজি বানাতে ব্যবহৃত অতি দাহ্য বারুদও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ দিনে ২৭ হাজার ৬৩৫ কেজি বাজি বানানোর কাঁচামালও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে।
মঙ্গলবার সকালেও মালদহের ইংরেজবাজারে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবিয়া এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা। রাজ্যের পুলিশ কমিশনার এবং জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে সেই বৈঠকে পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, তাঁরা যেন জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে সক্রিয় করেন। একই সঙ্গে বেআইনি আতশবাজি কতটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, এ ছাড়া বেআইনি বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা-ও জানাতে বলা হয় জেলার পুলিশ সুপারদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ছ’দিনে বেআইনি বাজি সংক্রান্ত ১৫২ টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৩ জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy