পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, জল কামান চলেছে, ইটের টুকরো আর কাচের বোতল ছোড়ার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। বোমাও পড়েছে, পুলিশের জিপ পুড়েছে, আতঙ্কে দোকানের ঝাপ বন্ধ হয়েছে। তবু বৃহস্পতিবার বিজেপির লালবাজার অভিযান আটকাতে পুলিশকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। আগের দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ এ দিন কিছুটা সংযতও ছিল। পূর্ব ঘোষণামতো এ দিন বেলা ১টায় কলেজ স্কোয়ার, ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল ও হাওড়ার দিক থেকে তিনটি মিছিল লালবাজারের দিকে রওনা দেয়। মাঝপথেই পুলিশের ব্যারিকেড আটকায় মিছিল। কর্মী-সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ লাঠি, জল কামান চালায়। ছত্রভঙ্গ হয় জনতা। ঘটনাস্থল থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, মীনাদেবী পুরোহিত, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা কার্যত রণে ভঙ্গ দেয়।
ব্রেবোর্ন রোড
হাওড়া থেকে শুরু হয়ে মিছিল ক্যানিং স্ট্রিট ও ব্রেবোর্ন রোডের সংযোগস্থলে পৌঁছতেই পথ আটকায় ব্যারিকেড। সেখানে একটি পেট্রোল বোমা পড়ে, পুলিশকে লক্ষ করে ইট, কাচের বোতল ছোঁড়া হয়। পুলিশ রাস্তায় ফেলে আন্দোলনকারীদের পেটায়। তার পর জলকামান দিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। কিছুটা পিছিয়ে ফের এগোতে গেলে আন্দোলনকারীদের তাড়া করে ব্রেবোর্ন রোড ব্রিজ পর্যন্ত নিয়ে যায় পুলিশ। এখানে বেশ কয়েক জন আহত হন। ঘটনার সময় এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।