অর্জুন সিংহ। ফাইল চিত্র।
টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের দিন থেকে সিআইডি তাঁর উপরে নজরদারি করেছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর শনিবারের সংযোজন মোবাইলে একটি ‘গ্রুপ চ্যাট’-এর স্ক্রিন শট। সেই স্ক্রিনশট (তার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) দেখিয়ে অর্জুনের অভিযোগ, ‘পুলিশ যে এ ভাবেই আমাকে ফাঁসাতে চাইছে, এটাই তার বড় প্রমাণ।’
মণীশ খুনের দায় পানিহাটির বিধায়ক, বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের উপর চাপান অর্জুন। তিনি এ দিন বলেন, “মণীশ খুনের পরে নান্টু (নির্মলের ডাক নাম) ঘোষ দু’হাজার টাকার মিষ্টি কিনে বিলিয়েছে। আসলে পানিহাটি ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই ওর। ও টিটাগড়ে দাঁড়াতে চাইছে। কিন্তু সেখানে বাধা ছিল মণীশ।” অর্জুনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্মল বলেন, “যার নিজের নামে এত মামলা, তার কথার কী জবাব দেব! কারা অপরাধী, মানুষ সব দেখছে।”
অজুর্নের নিশানায় রয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তও। ঘটনাচক্রে, মণীশ খুনের আগের দিন থেকে শীলভদ্র চিকিৎসার জন্য গুরুগ্রামে রয়েছেন। অর্জুন বলেন, “শীলভদ্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা বলছি না। মণীশকে খতমের পরিকল্পনা জেনেই তিনি এলাকা ছেড়েছেন বলে আমার মনে হয়। তার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ। তাতেই তো সব পরিষ্কার হয়ে যায়।”
শীলভদ্র অর্জুনের অভিযোগ খারিজ করে বলেন, “কে, কেন, কী বললেন, তা আমি বলতে পারব না। আর আমার ফোন কখনও বন্ধ ছিল না। ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার অসংখ্য বার ফোনে কথা হয়েছে।”
অর্জুন যে স্ক্রিনশট দেখিয়েছেন, তাতে তিন পুলিশ অফিসারের কথোপকথন রয়েছে। একটা জায়গায় বলা হচ্ছে, চার্জশিটে অর্জুনের নাম রয়েছে। সিআইডি-র আধিকারিকেরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকদের সকলে সিআইডিতে নেই। ওই গ্রুপটি ১৯৯৮ ব্যাচের অফিসারদের ব্যক্তিগত গ্রুপ। এক অফিসার বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। আর এক অফিসার রয়েছেন জিআরপি-তে, অন্য অফিসার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি থানায় রয়েছেন। সেই গ্রুপে আদৌ তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, আর হলেও তার কোনও ভিত্তি রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলা সবে শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে চার্জশিটের প্রসঙ্গ কেন, তারও জবাব দেননি অর্জুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy