রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আমিষ বিক্রেতাকে হেনস্থার ঘটনার মামলায় তিন অভিযুক্তকে এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন কলকাতা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অতনু মণ্ডল।
আদালত সূত্রের খবর, বিচারকের বক্তব্য, ৭ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটের সময় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআর দায়ের করতে দেরি হলে তার কারণ এফআইআরের একটি কলামে উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার তা করেননি।
বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ওই দিন প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ লোক মাঠে গীতা পাঠে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ধরা হয়েছে। এবং এফআইআরে তিন জনের কোনও নাম নেই। তিন জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৯৯ (ধর্মীয় কারণে কাউকে হেনস্থা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা) ধারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ধারা প্রয়োগ করার আগে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৩৫(৩) ধারায় নোটিস জারি করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তারপর গ্রেফতার। এ ক্ষেত্রে পুলিশ নোটিস জারি করেনি।
কেস ডায়েরি পর্যবেক্ষণ করে বিচারকের মন্তব্য, ওই তিন জন কী ভাবে আমিষ বিক্রেতাকে হেনস্থা করেছিলেন এবং তাঁরা ওই ঘটনায় কী ভাবে জড়িত, তার কোন তদন্ত সূত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি মামলার তদন্তকারী অফিসার। কার্যত ওই তিন জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার ঘটনার কোনও প্রমাণ ও সূত্র কেস ডায়েরিতে দেখা যায়নি। ওই তিন জন আমিষ বিক্রেতাকে হেনস্থা করেছেন বলে সন্দেহের বশে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কেস ডায়েরিতে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। এবং তদন্তে একাধিক গাফিলতি রয়েছে। সেই কারণে জামিন মঞ্জুর করা হল জানিয়েছেন বিচারক। আইনজীবীদের একাংশের কথায়, নোটিস জারি করে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ না করেই সন্দেহের বশে তিন জনকে গ্রেফতার করা আইনবিরুদ্ধ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)