তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ‘কাটমানি’ সংক্রান্ত পোস্টার পড়ার ঘটনায় নাম জাড়াল এক পুলিশ অফিসারের। কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হল সংশ্লিষ্ট ওই অফিসারকে। ঘটনার নেপথ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা।
সোমবার গভীর রাতে ‘পুলিশ’ স্টিকার সাঁটা একটি বোলেরো গাড়িতে চেপে কয়েক জন শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি স্টেশন-সহ বিভিন্ন জাযগায় সাংসদের নামে পোস্টার লাগায় বলে অভিযোগ। তাতে লাল কালিতে সাংসদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অশ্লীল কথাও লেখা ছিল। কমিশনারেট সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থেকে গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। তার চালক অমিয় খামরুইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি মগরার শ্বেতপুরে। গাড়ির মালিকও ওই এলাকায় থাকেন। হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর সমীর সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া করা ওই গাড়িতে চাপেন।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিছু সূত্র মিলেছে। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সমীরবাবু বিভিন্ন থানায় ওসি পদে থেকেছেন। এখন তিনি কামারকুণ্ডুতে গ্রামীণ জেলা পুলিশের ডিআইবি বিভাগে আছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই রাতে আমার এক পরিচিতকে ছাড়তে গাড়িটি শ্রীরামপুর স্টেশনে গিয়েছিল। সিসিটিভিতে গাড়ির ছবি আসতেই পারে। তার জন্য কেন আমার গাড়ি আটক করা হল এবং চালককে ধরা হল, বুঝতে পারছি না। গাড়ি ছাড়া সরকারি কাজ করতে আমার অসুবিধা হচ্ছে।’’