—ফাইল চিত্র।
আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির জেরে আলু নামানোর কাজ বন্ধ থাকল রাজ্যের প্রায় প্রতিটি হিমঘরেই। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের কোনও হিমঘর থেকে সোমবার আলু যায়নি বাজারে। এ ভাবে কর্মবিরতি চলতে থাকলে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবারই রাজ্যের ব্যবসায়ীদের নবান্নের বৈঠকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আলু রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতার জেরে শনিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেয় প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। শনিবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু হলেও আগে থেকে শেডে নামিয়ে রাখা আলু প্যকেটজাত করে তা বাজারে আনতে আনতে রবিবার গড়িয়ে যায়। সোমবার আর নতুন করে হিমঘর থেকে শেডে আলু নামানো হয়নি। ফলে রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর লাগোয়া শেডেই আলু প্যকেটজাত করার কাজ বন্ধ ছিল। এ দিকে নতুন করে আলু বাজারে না আসায় রাজ্যের বাজারগুলিতে ফের আলুর আকাল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য জানিয়েছেন, পাইকারি ও খুচরো বাজারে যে পরিমাণ আলু মজুত আছে, তা দিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত চাহিদা মিটতে পারে। তবে বুধবারের মধ্যে জোগান স্বাভাবিক না হলে ফের রাজ্য জুড়ে শুরু হতে পারে আলুর আকাল। আর সে ক্ষেত্রে আলুর দাম যে আরও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
এ দিকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইতিমধ্যেই নবান্নর তরফে আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠকের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নে সেই বৈঠকে যোগ দেবেন আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব। এক আলু ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘রাজ্যে যে বিপুল পরিমাণ আলু সংরক্ষিত আছে, তার সবটা রাজ্যের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। স্বাভাবিক ভাবে তা বাইরের রাজ্যে পাঠাতেই হবে। তা ছাড়া বিশেষ কয়েকটি প্রজাতির আলুর এ রাজ্যের বাজারে কোনও চাহিদা নেই। সেগুলি ভিন্ রাজ্যে না পাঠালে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে ভিন্ রাজ্যে তো বটেই, আশপাশের জেলাতে আলু পাঠাতে গেলেও প্রশাসনিক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে এই বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিললেই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy