Advertisement
১৭ মে ২০২৪
SSC Recruitment Case

প্রসন্নের ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্কে, জমা পড়েছে ৭০ কোটি টাকা! আদালতে দাবি করল ইডি

বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে প্রসন্নের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। আদালত সোমবার পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়।

নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৫
Share: Save:

নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে ধৃত প্রসন্ন রায়ের নামে ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে প্রায় ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে ইডি। আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে প্রসন্নের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন প্রসন্ন। আদালতে ইডি লিখিত আকারে জানিয়েছে, প্রসন্নের নামে ১০০টির বেশি সংস্থা রয়েছে। তিনি একাই ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্টের মালিক অথবা নিয়ন্ত্রক। প্রসন্ন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করেছে ইডি। তারা জানিয়েছে, ওই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে অত্যন্ত কম দামে। অভিযোগ, এ ভাবে ‘দুর্নীতি’র টাকা কাজে লাগিয়েছেন প্রসন্ন। ইডির দাবি, গ্রেফতারের পর প্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সংশ্লিষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, যে সময়ের মধ্যে এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে প্রসন্নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অন্তত ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। প্রসন্নই সেই লেনদেন সম্পর্কে জেরার মুখে ইডিকে জানিয়েছেন।

এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানায়, এই ‘দুর্নীতি’র শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে প্রসন্ন নিয়ন্ত্রিত সমস্ত সংস্থা নিয়ে বিশদে তদন্ত প্রয়োজন। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এর পরেই প্রসন্নের ইডি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ইডি। এর আগে একই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক এবং অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি করে ইডি। এ ছাড়া, প্রসন্নের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগও তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE