ফুল-ফলে হাত ছোঁয়ানোর জো নেই। আনাজ আগুন। সরা হোক বা প্রতিমা, তারও দর চড়া। কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনার প্রস্তুতিতে হাত পুড়ছে সাধারণ গৃহস্থের।
মহানগরী থেকে গাঁ-গঞ্জ— লক্ষ্মীপুজোয় চড়া বাজার সর্বত্র। শনিবার কলকাতার প্রায় সব বাজারেই ফুল-ফল-আনাজের দাম বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। লেক মার্কেটে আপেল বিকিয়েছে কিলো প্রতি ১০০-১২০ টাকায়। গড়িয়াহাট বাজারে নাসপাতির দর ছিল কিলো প্রতি ১০০ টাকা, পানিফল ৮০ টাকা, পেয়ারা ৬০-৮০ টাকা, আতা ২০০ টাকা, আনারস কিলো প্রতি ৬০-৭০ টাকা। ফুলের বাজারে একটি পদ্ম বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। রজনীগন্ধা, কমলা এবং হলুদ গাঁদা যথাক্রমে কিলো প্রতি ৩৫০, ৭০ এবং ৮০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, এই দাম প্রায় দ্বিগুণ।
জেলাতেও বাজার অগ্নিমূল্য। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে ফুলকপি প্রতি পিস ২০-৩০ টাকায়, ঝিঙে, বেগুন যথাক্রমে ৩০ টাকা, ৫০ টাকা কিলোয় বিক্রি হয়েছে। পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরে ঝিঙে কিলো প্রতি ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কুমড়ো ১৬ টাকা, গাজর ৮০, পটল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ঝালদার আনাজ বিক্রেতা কমল কুইরির কথায়, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যে টোম্যাটোর দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। পাইকারি বাজারে আলুর বস্তা ৪৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা। কম দাম নেব কী করে?’’ পূর্ব বর্ধমানের একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, বেগুন ৫০ টাকা, ডাঁটা দেড়শো টাকা, লঙ্কা ৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, টোম্যাটো ৬০ টাকা, বিনস দেড়শো