করুণাময়ীতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। —ফাইল ছবি।
রাতের অন্ধকারে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলে দিয়েছিল পুলিশ। থেমে না থেকে আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলন করার পরিকল্পনা শুরু করছেন তাঁরা। তবে এ বার তাঁদের পরিকল্পনা নির্ভর করছে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর। শুক্রবার টেট প্রার্থীদের মামলাটির শুনানি রয়েছে উচ্চ আদালতে। সেখানে কী হয় সেই দিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তবে আপাতত তাঁরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাবেন।
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হওয়ার কথা। অর্ণব ঘোষ নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “পর্ষদের কৌশলের কারণে আমাদের বঞ্চিত হতে হবে। তাই আমরা পর্ষদের অফিসের সামনে গিয়ে ধর্না-অনশন করেছিলাম। সেখান থেকে বলপূর্বক তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি নিয়ে আবার আমরা সেখানে যাব।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। ওরা আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে তুলেছে। আমরাও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা করা হবে। তবে আমরা ফের পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলন করতে প্রস্তুত।”
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “এর আগে পুলিশ এবং পর্ষদ হাই কোর্টের একক বেঞ্চে ভুল তথ্য দিয়েছে। মামলায় আন্দোলনকারীদের বক্তব্য শোনা হয়নি। আদালতের নির্দেশ এক তরফা ভাবে গিয়েছে। আমরা ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার সবার রয়েছে। গায়ের জোরে পুলিশ তা তুলে দিতে পারে না।”
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত না করে, সরাসরি নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে পর্ষদের অফিস এপিসি ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে নামেন ২০১৪-র টেট পাশ প্রার্থীরা। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এই যুক্তি দেখিয়ে আন্দোলন তুলতে সক্রিয় হয় পুলিশ। পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে বলে আদালত। সেই মতো রাতে আন্দোলন তুলে দেয় পুলিশ। একক বেঞ্চের নির্দেশ এবং পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান অমিত মজুমদার-সহ চাকরিপ্রার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy