জেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের আর্জি জানিয়েছিলেন জেলবন্দি কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বার বার অনুরোধ করার পরেও ৯০ লক্ষ টাকা কলকাতা পুরসভায় পড়ে রয়েছে। পুরসভা থেকেই তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা মঞ্জুর হওয়ার কথা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নতুন কারামন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারকে চিঠি দিয়ে ওই টাকা দ্রুত খরচ করার অনুরোধ জানালেন কুণাল। সূত্রের খবর, বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েছিলেন কারা দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরই মাধ্যমে কুণাল চিঠি পাঠিয়েছেন কারামন্ত্রীকে।
বিগত আড়াই বছরে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের ন’টি জেলে থাকতে হয়েছে কুণালকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু ঘাটতি চোখে পড়েছে তাঁর। সেই কারণেই পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি, আলিপুর, দমদম, মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি— রাজ্যের পাঁচটি প্রধান জেলের হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, ইউএসজি মেশিনের মতো যন্ত্রপাতি কেনার জন্য তিনি সাংসদ তহবিলের ওই টাকা দিতে চান বলেও জানিয়েছেন। সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া এই সাংসদ এখন রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে।
আরও খবর: ‘আমার জন্মদিনেই চলে গিয়েছিল ঋতুকাকু’
২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর জেলে থাকাকালীনই তাঁর প্রতি অবিচারের অভিযোগ তুলে এক সঙ্গে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুণাল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সেই সময়ে দুই কারারক্ষীকে সাসপেন্ড করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া কারামন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সেই দুই কারারক্ষীর শাস্তি তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি, ওই দুই রক্ষী নির্দোষ। তাঁদের কাজে বহাল করা হোক।
জেলে বসে চিঠি, গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন কুণাল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর সেই সব লেখা জেল কর্তৃপক্ষ নিজেদের হেফাজতে রেখে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সহারা প্রধান সুব্রত রায়ের প্রসঙ্গ তুলে কুণাল চিঠিতে জানিয়েছেন, জেলে বসে সহারা-কর্তার লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এতটা না আশা করলেও তাঁর লেখাগুলি হয় তাঁকে, নয়তো তাঁর আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
কারামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এখনও এমন কোনও চিঠি হাতে পাইনি। পাওয়ার পরে দেখব, কী করা যায়!’’