মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। তা সত্ত্বেও ছ’মাসের মধ্যে সব শূ্ন্য শিক্ষক-পদ পূরণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, নতুন বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে নিয়োগ শেষ হতে বছর ঘুরে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তাদের একাংশের ধারণা।
যাদবপুরে ২৬০ শিক্ষক-পদ খালি। ৭ জানুয়ারি শিক্ষা-সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ছ’মাসের মধ্যে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা মঙ্গলবার জানান, যাদবপুরে নিয়োগের শেষ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে। তার পরে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করাই হয়নি। তাই নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাদবপুর-কর্তৃপক্ষকে।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগে ডিনদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিন যাদবপুরে স্থায়ী ডিন ছিলেন না। তাই নিয়োগের কাজ শেষ করা যায়নি।’’ উপাচার্য জানান, আগের বিজ্ঞাপন দেখে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের আর আবেদন করতে হবে না।
তবে পুরো প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে অযথা দেরি হবে বলে মনে করছে যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন জুটা। ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করবে, সরকার সেই নির্দেশ দিতে পারে না। তবু সেই চেষ্টাই চলছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ,’’ বলেন জুটা-র সহ-সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বেশি পদ শূন্য রয়েছে যাদবপুর ও কলকাতায়। উচ্চশিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশ তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলে জানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়।