Advertisement
০৩ মে ২০২৪

প্রাক্তন বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধির ভাবনা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার বিগত অধিবেশনে মন্ত্রী ও বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। তার জন্য বিলও পাশ হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫৪
Share: Save:

বিধায়কদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে সদ্য। তার পরে বেড়েছে জেলা পরিষদ-সহ পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক। বাড়ানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের বেতনও। এ বার প্রাক্তন বিধায়কদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বিধানসভার সংশ্লিষ্ট কমিটিতে আলোচনার পরে এই নিয়ে কিছু প্রাথমিক প্রস্তাবও উঠে এসেছে। বিধানসভা সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ভাবে সুপারিশ পাঠানো হবে সরকারের কাছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার বিগত অধিবেশনে মন্ত্রী ও বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। তার জন্য বিলও পাশ হয়েছিল। তখনই বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস বিধায়কেরা দাবি করেছিলেন, বর্তমান বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর চেয়ে প্রাক্তন, প্রবীণ বিধায়কদের সমস্যা দূর করা বেশি জরুরি। কে কত বারের বিধায়ক, তার উপরে এখন ঠিক হয় তাঁর অবসরকালীন পাওনা কত হবে। পেনশন ও চিকিৎসাকালীন ভাতা মিলে এক বারের বিধায়ক এখন মাসে পান ১৪ হাজার টাকা, দু’বারের বিধায়ক ১৬ হাজার এবং তিন বা তার চেয়ে বেশি বারের বিধায়ক ১৮ হাজার। চিকিৎসা ও অন্য প্রয়োজনে ভ্রমণ ভাতা হিসেবে প্রাক্তন বিধায়কেরা পান বছরে ১৯ হাজার টাকা। বিধানসভার এনটাইটেলমেন্ট কমিটি এই ভাতার পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা করতে চায়। পেনশন ও চিকিৎসা ভাতা মিলে অবসরকালীন পাওনার সর্বোচ্চ ধাপ ১৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

বিরোধী শিবিরের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘প্রাক্তনদের ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর দাবি আমরা বারবার করেছি। ট্রেনের ভাড়া পরিবর্তন হওয়ার জেরে প্রাক্তনদের ভ্রমণ ভাতা বিধানসভাই বাড়াতে পারবে। তার জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন লাগবে না। পেনশন বা চিকিৎসা ভাতা বাড়াতে রাজ্য সরকার রাজি হয় কি না, সেটাই দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA Allowances
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE