Advertisement
E-Paper

আবার ‘অরাজনৈতিক’ কৌশল বিজেপির, শুক্রবার বিধানসভা ঘেরাওয়ের ডাক অন্য সংগঠনকে সামনে রেখে, পুরোভাগে সাংসদ

২০২৪ সালে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ নাম করে যে ‘নবান্ন অভিযানের’ ডাক দেওয়া হয়েছিল তা-ও এ রকম ‘সামাজিক তথা অরাজনৈতিক’ ব্যানারেই হয়েছিল। চলতি বছর আরজি কর-কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের একই কৌশল নেওয়া হয়। এ বার ‘নির্যাতিতার মা-বাবার ডাকে নবান্ন চলো’ বলে মাঠে নেমেছিল বিজেপি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ২০:৫০
Protest against OBC reservation for minorities, BJP arranges Assembly Gherao putting forward a banner of an apolitical outfit

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘নবান্ন অভিযানের’ তিন সপ্তাহের মাথায় ‘বিধানসভা ঘেরাও’। এ বারও নেপথ্যে বিজেপি। তবে সামনে অন্য ‘সামাজিক তথা অরাজনৈতিক’ সংগঠনের নাম। ‘বিধানসভা ঘেরাও’য়ের কথা ঘোষণা করতে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ ওবিসি অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের তরফে। ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’র (ওবিসি) অধিকার রক্ষার দাবিতে শুক্রবার ‘বিধানসভা ঘেরাও’ করা হবে বলে সেখানে ঘোষণা করা হয়। তবে যাঁর নেতৃত্বে এই সাংবাদিক বৈঠক হয়, তিনি পুরুলিয়ার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।

জ্যোতির্ময় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ওবিসি সম্প্রদায়কে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে বেআইনি ভাবে ওবিসি সংরক্ষণের সুবিধা সংখ্যালঘুদের পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসল ওবিসিরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ এর প্রতিবাদেই ‘বিধানসভা ঘেরাও’য়ের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সাংবাদিক বৈঠকে জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতিও। তবে বিজেপির উদ্যোগেই যে এই ‘বিধানসভা ঘেরাও’য়ের ডাক, তা জ্যোতির্ময় মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘একটি সামাজিক তথা অরাজনৈতিক সংগঠনের ডাকে এই কর্মসূচি হচ্ছে। যে দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, তা ন্যায্য বলে তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরাও এই অভিযানে শামিল হচ্ছি। কিন্তু কর্মসূচি বিজেপির নয়।’’

২০২৪ সালে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ নাম করে যে ‘নবান্ন অভিযানের’ ডাক দেওয়া হয়েছিল তা-ও এ রকম ‘সামাজিক তথা অরাজনৈতিক’ ব্যানারেই হয়েছিল। চলতি বছর আরজি কর-কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের একই কৌশল নেওয়া হয়। এ বার ‘নির্যাতিতার মা-বাবার ডাকে নবান্ন চলো’ বলে মাঠে নামে বিজেপি। দু’বারই প্রস্তুতি পর্ব থেকে কর্মসূচির দিন পর্যন্ত পুরোভাগে ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছর শুভেন্দুর পাশাপাশি নেমেছিলেন রাজ্য বিজেপির সামনের সারিতে থাকা অন্য নেতারাও। এ বছর শুভেন্দুর সঙ্গে পথে নামেন বিজেপির এক ঝাঁক বিধায়ক। তবু বিজেপি আনুষ্ঠানিক ভাবে মানেনি যে, কর্মসূচি দলেরই। শুক্রবারও জ্যোতির্ময় এবং আরও কয়েক জন বিজেপি নেতাকে শামিল হতে দেখা যাবে ‘বিধানসভা ঘেরাও’ কর্মসূচিতে। কিন্তু এ বারও তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করবেন না যে, বিজেপিই এই ঘেরাওয়ের নেপথ্যে।

দুপুর ১২টায় কলেজ স্কোয়্যারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই মিছিল করে বিধানসভার দিকে রওনা দেবেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পুলিশের তরফে এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ‘পশ্চিমবঙ্গ ওবিসি অধিকার রক্ষা মঞ্চের’ তরফ থেকে কর্মসূচির কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে। অনুমতি মেলেনি। কিন্তু তাতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়নি। পুলিশি অনুমতি ছাড়াই শুক্রবার পথে নামছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা।

West Bengal Politics BJP Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy