নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভা নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত। রাজ্যের ওই উদ্যোগের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে প্রধানমন্ত্রীর আচার্য থাকার প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এসইউসি শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদের ছাত্র সংগঠন ডিএসও কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ডিএসও-র বিক্ষোভ মিছিল বেরিয়ে পুরো কলেজ স্ট্রিট চত্বর পরিক্রমা করে। বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদে নেমেছিল এসএফআই-সহ অন্যান্য বাম সংগঠনও।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার উদ্যোগ প্রসঙ্গে এ দিন বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এই পদ নির্ধারিত হয়। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, সব প্রতিষ্ঠানে তাঁর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চাই। এটা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা।” বোলপুরে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। এসএসসি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত নানা ব্যাপারেও দুর্নীতি হয়ে রয়েছে। সেগুলোকে ধামাচাপা দিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে সরিয়ে ওই জায়গা নিতে চাইছেন।’’ আবার বাঁকুড়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, এমন উদ্যোগ বাস্তবে কার্যকর হবে না। কারণ, শিক্ষা যৌথ তালিকার বিষয় এবং অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) বা বিল আনতে গেলে রাজ্যপালেরই সম্মতি লাগবে।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেছেন, ‘‘যাঁরা এই নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের বলব বিশ্বভারতীর আচার্য কেন প্রধানমন্ত্রী? তিনি কি শিক্ষাবিদ? আগে সেই প্রশ্নের জবাব দিন, তার পরে রাজ্য নিয়ে ভাববেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy