Advertisement
E-Paper

মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ

নিগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, ময়দান-চত্বরের যেখানে বিক্ষোভ চলছিল, ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকায় সেখানে জমায়েতের অনুমতি নেই। বিক্ষোভ-কর্মসূচির অনুমোদনও ছিল না ওই সংগঠনের।সারা রাজ্যে সরকার অনুমোদিত ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসা আছে। ছাত্রছাত্রী ৪০ হাজার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৫
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন, পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজ়ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই সমিতির সদস্যদের গ্রেফতার করা হয় এবং কয়েক জন শিক্ষক পুলিশের হাতে নিগৃহীত হন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েক জন শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

নিগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, ময়দান-চত্বরের যেখানে বিক্ষোভ চলছিল, ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকায় সেখানে জমায়েতের অনুমতি নেই। বিক্ষোভ-কর্মসূচির অনুমোদনও ছিল না ওই সংগঠনের।সারা রাজ্যে সরকার অনুমোদিত ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসা আছে। ছাত্রছাত্রী ৪০ হাজার। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা আড়াই হাজারের মতো। এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসা শিক্ষকেরা ধর্মতলা-চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। সমিতির রাজ্য সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদ জানান, স্বীকৃতি থাকলেও আন-এডেড মাদ্রাসাগুলি এডেড মাদ্রাসার মতো সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায় না। বেতন-কাঠামো চালু করার প্রতিশ্রুতিও রূপায়িত হয়নি।

সকালে উত্তরবঙ্গ-সহ বিভিন্ন প্রান্তের মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাস থেকে নেমে বিক্ষোভের প্রস্তুতি শুরু করেন। প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল গাঁধী-মূর্তির পাদদেশ অভিমুখে রওনা দিতেই পুলিশ শতাধিক শিক্ষককে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়। জাভেদ লালবাজার থেকে ফোনে বলেন, “গ্রেফতারের সময় কয়েক জনকে নিগৃহীত করা হয়। বেতন-কাঠামো, মিড-ডে মিল-সহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। বুধবারেও শিক্ষকেরা কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাবেন।” বিক্ষোভকারী কিছু শিক্ষক অবশ্য পরে জানান, সম্প্রতি রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতর থেকে তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ওই শিক্ষকদের দাবিদাওয়া সমর্থন করেছেন সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। “মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিচার-বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি,” বলেন বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাস। বক্তব্য জানতে মাদ্রাসা বোর্ডের এক পদস্থ আধিকারিককে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Police Madrasa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy