E-Paper

দ্রুত কাউন্সেলিং ও নিয়োগের দাবিতে জোড়া মিছিল শহরে

এ দিনের মিছিলে অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু মহিলা চাকরিপ্রার্থী ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে বসে পড়েন। কেউ কেউ রাস্তার উপরেই শুয়ে পড়েন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দ্রুত কাউন্সেলিংয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। এ দিন দুপুরে কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়ে দেড়টা নাগাদ ওই মিছিল পৌঁছয় ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। তখন ডোরিনা ক্রসিংয়ে অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে দু’পক্ষে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। এর জেরে কিছু ক্ষণ ডোরিনা ক্রসিং বন্ধ থাকায় ধর্মতলা কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, এ দিন তাঁদের সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একটি খোলা চিঠি। যাতে তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের প্রথম পর্বের কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। প্রথম পর্বের কাউন্সেলিংয়ে ১০২৫ জন প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, ৯৪ জন প্রার্থী এসেও স্কুল বাছাই করেননি। সব মিলিয়ে দু’হাজারেরও বেশি প্রার্থীর দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাওয়ার কথা। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সেলিং এখনও শুরুই হয়নি। তাই দ্রুত দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করা এবং প্রথম পর্বের কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিনের মিছিলে অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু মহিলা চাকরিপ্রার্থী ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে বসে পড়েন। কেউ কেউ রাস্তার উপরেই শুয়ে পড়েন। সে জন্য ডোরিনা ক্রসিং কিছু ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় এস এন ব্যানার্জি রোড-সহ ধর্মতলায় যানজট হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ তাঁদের ডোরিনা ক্রসিং থেকে সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েও সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘পুরোটাই কোর্টে আটকে রয়েছে। সরকার চাকরি দিতে ইচ্ছুক। কোর্ট থেকে জট ছাড়লেই আমরা দ্রুত নিয়োগ দেব।’’

অন্য দিকে, এ দিন আইসিডিএস সুপারভাইজ়ার গ্রুপ ‘বি’ পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের সামনে ধর্না-অবস্থানে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। সুপারভাইজ়ার গ্রুপ ‘বি’ পদের এক চাকরিপ্রার্থী কৃষ্টি মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের ২০২৩ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। তার পরে ৮ মাস কেটে গিয়েছে। প্যানেলভুক্ত ২৯৩১ জনের মধ্যে মাত্র ১৩৭ জনের নিয়োগ হয়েছে। বাকিদের এখনও নিয়োগ হল না। অথচ আমাদের মেডিক্যাল, পুলিশ ভেরিফিকেশন— সব হয়ে গিয়েছে।’’ ওই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, এ দিন দুপুরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলার সময়ে বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

protests Upper Primary upper primary school job aspirants

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy