ফাইল চিত্র।
এমএ, এমএসসি-র নম্বরের ভিত্তিতে ডেকে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে সরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণার পরেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। নিয়োগের এমন মানদণ্ড নিয়ে বিতর্ক জোরদার হতে থাকায় প্রশাসনিক কারণের কথা জানিয়ে আগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে দিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়েবসাইটে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই খবর জানানো হয়। এতে স্বস্তিতে আবেদনকারীদের বড় অংশ।
প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল ‘ডেমোক্র্যাটিক রিচার্স স্কলার অর্গানাইজেশন’ (ডিআরএসও)-এর মতো সংগঠন। বিজ্ঞপ্তি স্থগিতের খবরে আন্দোলন এক ধাপ এগোল বলে ওই গবেষক সংগঠনের দাবি।
শিক্ষা শিবির সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রায় ৫০টি সরকারি কলেজ রয়েছে। সাধারণত সেখানে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে প্রথমে লিখিত পরীক্ষা এবং পরে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করে পিএসসি। শেষ বার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে। তার প্রায় দু’বছর পরে, গত শুক্রবার পিএসসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায়। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা আবহে স্নাতকোত্তরের নম্বরের ভিত্তিতে শূন্য পদের তিন গুণ আবেদনকারীকে ডেকে অনলাইনে ইন্টারভিউ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। কমবেশি ১২৩টি শূন্য পদের জন্য ডাক পাবেন অন্তত ৩৭০ জন আবেদনকারী।
গবেষক সংগঠনগুলি প্রশ্ন তোলে, কলেজের শিক্ষক নিয়োগ শুধু এমএ, এমএসসি-র নম্বরের ভিত্তিতে হলে বিপুল সংখ্যক আবেদনকারী নিজেদের যোগ্যতা যাচাইয়ের বাইরে থেকে যাবেন। সে-ক্ষেত্রে পিএইচ ডি ডিগ্রিধারীরাও এমএ-এমএসসির নম্বর কম থাকলে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। পুরো বিষয়টির সংশোধনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে মেল করে দাবি জানায় ডেমোক্র্যাটিক রিচার্স স্কলার অর্গানাইজেশনের মতো সংগঠন। তাদের প্রতিনিধিরা বুধবার কালীঘাটে পিএসসি-র দফতরে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।
চলতি মাসেই ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার কথা। দিন এগিয়ে আসছে দেখে প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার থেকে গণ-মেল কর্মসূচি নেয় ডিআরএসও। এই পরিস্থিতিতে এ দিনই ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগের নির্দেশ স্থগিত করে দেয় পিএসসি।
আপত্তি শুধু শিক্ষক নিয়োগের মানদণ্ড নিয়েই নয়। দু’বছরে কলেজে শূন্য পদ বাড়ল না কেন, উঠছে সেই প্রশ্নও। ডিআরএসও-র যুগ্ম আহ্বায়ক অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘‘বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমাদের দাবি, আবেদনকারীর পূর্ণ যোগ্যতা, লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার জন্য ৮৫ এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy