Advertisement
E-Paper

অপরাধী মানসিকতা, বলছেন মনোবিদরা

বঁটি দিয়ে নৃশংস ভাবে প্রেমিকার দেহ কেটে টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। শনিবার শেওড়াফুলিতে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। কী মানসিকতা কাজ করেছে এই হত্যার পিছনে? এত নৃশংসতার মানসিক ব্যাখ্যাই বা কী? জানালেন শহরের মনোবিদরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৫ ১৭:১৮

বঁটি দিয়ে নৃশংস ভাবে প্রেমিকার দেহ কেটে টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। শনিবার শেওড়াফুলিতে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। কী মানসিকতা কাজ করেছে এই হত্যার পিছনে? এত নৃশংসতার মানসিক ব্যাখ্যাই বা কী? জানালেন শহরের মনোবিদরা।

মনোবিদ ডাঃ জয়রঞ্জন রামের কথায়, “যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁকে বঁটি দিয়ে কাটা চরম নৃশংসতার পরিচয়। যদি ওই ব্যক্তির কথা ১০০ শতাংশ ঠিক বলে মেনেও নিই, তাহলেও এটি একটি বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। হঠাত্ করে এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। এটা অনেক পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে। একে বারে পাকাপোক্ত অপরাধী মানসিকতা।”

মনোবিদ কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এ ধরনের মানসিক বিকারের শিকড় অনেক গভীরে। ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, হয়তো ১৭-১৮ বছর বয়স থেকেই উনি পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারের শিকার। একে অ্যান্টিসোশ্যাল ডিজঅর্ডারও বলা যায়। এরা অনেক সময় সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। কিন্তু হাঁটতে চলতে মিথ্যে কথা বলেন। আবার ইমপালসিভ ডিজঅর্ডারও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অপরাধীর পরে অনুশোচনা হয়। আবার কেস স্টাডি করলে ইলিউশন ডিজঅর্ডারের প্রমাণও পাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের মানসিক সমস্যা থাকলে অপরাধীরা সন্দেহের বশে খুন করে ফেলেন।

psychiatrist jai ranjan ram kolkata police murder kedar bandopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy