চাষের কাজে বেরিয়েছিলেন বৃদ্ধ। তার পর আর খোঁজ মেলেনি। এক দিন পর বৃদ্ধকে পাওয়া গেল। তবে মৃত অবস্থায়। মাটি খুঁড়ে দেহ বার করল পুলিশ। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামীকে খুন করেছেন বৌমা! কারণ, পরপুরুষের সঙ্গে বৌমাকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখে আপত্তি জানিয়েছিলেন বৃদ্ধ। সদ্য স্বামীহারা প্রৌঢ়া জানান, পরকীয়া করে পরস্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন পুত্র। এ বার বৌমা পরকীয়া করে খুন করে দিয়েছেন তাঁর স্বামীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বীরভূমের মল্লারপুর থানার রাতমা গ্রামে। রহস্যমৃত্যুতে মোট তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম তমাল বাগদি। রবিবার চাষের কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। সোমবার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে তমালের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, বৌমার পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তমালকে খুন করা হয়েছে। তমালের পরিবার সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তমালের বৌমার। মাসখানেক আগে এ নিয়ে শ্বশুর এবং বৌমার অশান্তি হয়। রাগ করে বাড়ি ছেড়ে সিউড়িতে বাপের বাড়ি চলে যান বৌমা। অন্য দিকে, রবিবার সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তমালকে পাওয়া যায়নি। সোমবার বিকেলে একটি পুকুরের পারে মাটি চাপা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। মাটি সরাতেই তমালের দেহ দেখতে পান তাঁরা। শুরু হয় শোরগোল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
মৃতের স্ত্রী শুষনি বাগদির দাবি, ‘‘বৌমার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ছেলে মাস ছয়েক আগে গ্রামেরই এক জনের স্ত্রীকে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। তার পর বৌমা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। দিন পনেরো আগে ওদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তার পর থেকে বৌমা তার বাপের বাড়িতে আছে। ওদের অবৈধ সম্পর্কে আপত্তি করায় গ্রামের দু’জনের সঙ্গে যোগসাজশ করে বৌমা আমার স্বামীকে খুন করিয়েছে। আমি ওর শাস্তি চাই।’’
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, তমালের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় তিন যুবকের পাশাপাশি মৃতের বৌমা এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন তমালের স্ত্রী। এ পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে।