ঘটনাস্থলে। নিজস্ব চিত্র।
এ বার একেবারে দিনের আলোয় মাটি চুরির অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কোপাই নদীর তীরবর্তী ধনুকতলা এলাকায়। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অতীতে জেলার একাধিক প্রান্তে বিভিন্ন সময়ে বালি কিংবা মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় সেই কারবার চলার অভিযোগও রয়েছে। এ বার সেই অভিযোগ উঠল কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালপাড়ার বিদ্যাধরপুর মৌজায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই পে-লোডার ও ট্রাক্টর লাগিয়ে অবাধে কোপাই নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে
মাটি লুট করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, সেই মাটি চড়া দামে পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় একাধিক ইটভাটায়। দিন চারেক ধরে এ ভাবে ট্রাক্টর লাগিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এ বারের বর্ষায় কোপাই নদী ছাপিয়ে জল বয়েছে। জলমগ্ন হয়েছে সংলগ্ন গ্রাম। দিনের পর দিন নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি কাটার ফলে এই ঘটনা বলে অভিযোগ করে আসছেন স্থানীয়েরা। গ্রামবাসীর আশঙ্কা মাটি চুরি বন্ধ না হলে ভরা বর্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। নদীর পাড়ে আরও ধস নামার আশঙ্কাও করছেন এলাকাবাসী। এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সেখান থেকে একটি পে-লোডার মেশিন সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিন ঘটনাস্থলে যান বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সহ তিন জনের প্রতিনিধি দল। তারা এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দা রুবি হাঁসদা, লক্ষ্মী হাঁসদাদের অভিযোগ, “বেশ কয়েক দিন ধরেই দিনেদুপুরে পে-লোডার মেশিন নামিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। এই মাটি চুরি বন্ধ না হলে আমাদের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’’
কারা মাটি কাটছিল? কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নারায়ণ ভান্ডারীর জবাব, “কে বা কারা মাটি কাটছিল, তা আমরা বলতে পারব না। তবে পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও কোনও রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে প্রশাসন আইনত ব্যবস্থা নিয়েছে।’’ বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় রায়ের কথায়, “আমাদের থেকেও কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাতে পেরে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy