Advertisement
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লোক টানছে ৫০ ফুটের মূর্তি

২০১৫ সাল। আনকোরা প্রচারের দৌলতে বিশালকার দুর্গামূর্তি দেখতে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকার একটি পুজো দেখতে তুমুল ভিড় জমেছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, ফাইবার গ্লাসের সেই মূর্তির উচ্চতা ৮৮ ফুট। 

দুর্গতিনাশিনী: উদয়াচলের দুর্গামূর্তি। বোলপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্গতিনাশিনী: উদয়াচলের দুর্গামূর্তি। বোলপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১০
Share: Save:

২০১৫ সাল। আনকোরা প্রচারের দৌলতে বিশালকার দুর্গামূর্তি দেখতে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকার একটি পুজো দেখতে তুমুল ভিড় জমেছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, ফাইবার গ্লাসের সেই মূর্তির উচ্চতা ৮৮ ফুট।

অত উঁচু না হলেও, এ বছর বোলপুরে ৫০ ফুট উঁচু দুর্গাপ্রতিমা দেখতে উৎসুক সাধারণ মানুষ। উদ্যোক্তাদের দাবি, চাল যোগ করলে ওই উচ্চতা হবে ৬৪ ফুট। পুরোটাই তৈরি মাটিতে। খরচ হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। দর্শক সামাল দিতে চতুর্থীর সন্ধ্যায় হল এই পুজোর উদ্বোধন।

উদয়াচল ক্লাব, বোলপুর স্টেশন থেকে হাঁটাপথে দু’মিনিট। উদ্যোক্তারা দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন ২০১৬ সালে। উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য থাকে, প্রতি বছরই নতুন কিছু বিষয় দর্শকদের সামনে তুলে ধরার। সেই কথা মাথায় রেখেই এ বছর ৫০ ফুটের প্রতিমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের টিজার ছিল— ‘এত বড়!’ বোলপুর লায়েকবাজারের প্রতিমাশিল্পী সৌমিত্র পাল আরও ১৫ জন কর্মীর সহযোগিতায় এই প্রতিমা নির্মাণ করেছেন।

২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কের সেই পুজোয় পঞ্চমীর সন্ধ্যায় বাঁধভাঙা ভিড়ে ভেঙে পড়েছিল দক্ষিণ কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা। শেষপর্যন্ত পুলিশের নির্দেশের পুজো বন্ধ করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন বোলপুরের এই পুজোর উদ্যোক্তারা। নিয়ম করেছেন, ফুটপাথে লাইন দিয়ে দর্শনার্থীরা দাঁড়াবেন। ৫০ জন ভিতরে ঢুকে গেলেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাঁরা অন্য দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পরবর্তী ৫০ জনকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে।

বোলপুর স্টেশন থেকে কবি জয়দেব রোড ধরে কাশিমবাজার পর্যন্ত যেতে রাস্তায় মোট ৬টি বারোয়ারি দুর্গাপুজো পড়ে। এর পরে বাড়ির পুজো তো আছেই। অন্য গলি দিয়ে গেলেও আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় দুর্গাপুজো রয়েছে। এই অবস্থায় রাস্তায় যাতে কোনও ভাবেই যানজট তৈরি না হয় তার জন্য সচেতন থাকছেন উদ্যোক্তারা। এমন ভাবেই প্যান্ডেল করা হয়েছে যে রাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে এই ৫০ ফুটের দুর্গা প্রতিমা দেখা সম্ভব নয়।

উদ্যোক্তারা জানান, নিজস্ব ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী বহাল থাকবেন। থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররাও। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে আঁটোসাঁটো। উদ্যোক্তাদের দাবি, মাটি দিয়ে তৈরি এত বড় দুর্গা প্রতিমা এই প্রথম। তাঁদের বক্তব্য, দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপ্রতিমা দেখতে না যাওয়ার খামতি এ বার তাঁরাই পূরণ করে দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE