লোকসভা ভোট দিতে গিয়েছিলেন মা-বাবা। সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়ি থেকে জোর করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হল। ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে অভিযুক্ত দীপক মাঝির।
মামলার সরকারি আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের ৭ মে, কোটশিলা থানার একটি গ্রামে। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে ভোট দিতে গিয়েছিলেন কিশোরীর বাবা-মা। একা মেয়েটি বাড়িতে ছিল। সেই সময়ে গ্রাম লাগোয়া টোলার বাসিন্দা দীপক মাঝি ওরফে সোরেন তাকে জোর করে নিয়ে যায় নদীর ধারের জঙ্গলে। ধর্ষণ করে সেই ছবি তুলে রাখে মোবাইলে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দীপক।
এক দিন পরে নির্যাতিতা অভিভাবকদের সব কথা খুলে বলে। বাড়ি গিয়ে অভিযুক্তকে না পেলেও মোবাইলটি উদ্ধার করে আনেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন। ৯ মে মোবাইলটি সমেত কোটশিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১৪ মে বিহারের দানাপুর থেকে দীপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরেরই ১৬ অগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে।
রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষী ছিলেন। এ দিন পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (বিশেষ আদালত) সুযশা মুখোপাধ্যায় পকসো আইনে দীপকের ৭ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডও হয়েছে। পাশাপাশি, বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচশো টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে দীপকের। তবে দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে।