ছিপ ও মাছ ধরার অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যুবক। তার পর থেকেই নিখোঁজ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সেই যুবকেরই দেহ উদ্ধার হল দিঘির জল থেকে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের লালবাঁধের এই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। বাপন লোহার নামের ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া চৌকান গ্রামের বাসিন্দা বাপন লোহার মঙ্গলবার রাতে ছিপ ও মাছ ধরার অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বুধবার সকালেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ করা শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজ চালানোর পরেও বাপনের খোঁজ মেলেনি। পরে বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় সূত্রে বাপনের পরিবার জানতে পারে, বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী দিঘি লালবাঁধের জলে একটি মৃতদেহ ভাসছে। দ্রুত বাপনের পরিবার সেখানে ছুটে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে লালবাঁধে পৌঁছোয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে চেষ্টা চালানোর পর বুধবার রাত ১২টা নাগাদ দিঘির জল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেই মৃতদেহটি বাপনের বলে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাপন লোহারের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, জলে ডুবেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’