Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Explosive Recovered

জেলায় ফের উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক

পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণত এই তিন ধরনের বিস্ফোরক পাথর খাদানে ব্যবহার করা হয়। নলহাটি থানার বাহাদুরপুর, লখনামারা, চন্দননগর সহ কিছু এলাকায় বেশ কয়েকটি পাথর খাদান আছে।

explosive

উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নলহাটি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৩
Share: Save:

মহম্মদবাজারে বিস্ফোরক উদ্ধার-কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে শুক্রবার জেরা করেছে এনআইএ বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবারই গভীর রাতে নলহাটি থানার চন্দননগর এলাকায় একটি পাথর খাদানের পরিত্যক্ত অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করল বীরভূম জেলা পুলিশ।

রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবৈধ ভাবে মজুত বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলির মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, জিলেটিন স্টিক এবং ডিটোনেটর। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। পুলিশ বিস্ফোরক মজুত থাকা ওই পরিত্যক্ত খাদানের অফিসটি সিল করে দিয়েছে। অফিসটিকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এসডিপিও জানান, কত পরিমান বিস্ফোরক মজুত আছে, তা এখনও গোনা হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, আজ রবিবার সিআইডি-র বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড আসার কথা। তার পরেই বোঝা যাবে ঠিক কত পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেল।

পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণত এই তিন ধরনের বিস্ফোরক পাথর খাদানে ব্যবহার করা হয়। নলহাটি থানার বাহাদুরপুর, লখনামারা, চন্দননগর সহ কিছু এলাকায় বেশ কয়েকটি পাথর খাদান আছে। এ ছাড়াও নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাখুড়িয়া ও রদিপুর থানা এলাকায় পাথর খাদান আছে। বিস্ফোরকগুলি খাদানে ব্যবহার করার জন্য মজুত ছিল, না কি অন্য কারণে রয়েছে এর পিছনে, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিস্ফোরকগুলি অবৈধ ভাবে মজুত ছিল।

প্রসঙ্গত, এ বছর ২৮ জুন নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চলেরর বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে মনোজ ঘোষ নামে বাণিওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা পাথর ব্যবসায়ীর অফিস ও বাড়িতে এনআইএ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। বর্তমানে মনোজ জেল হেফাজতে আছেন। মনোজ ছাড়াও এনআইএ বিস্ফোরক পাচার যোগে মুরারই ২ ব্লকের কুশমোড় ২ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। চলতি বছরের অগস্টে রামপুরহাট থানার রদিপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় কাউকে পুলিশ গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি।

২০২২ সালের জুন মাসে মহম্মদবাজারে এসটিএফ অভিযান চালিয়ে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক এবং ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় এনআইএ মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। শুক্রবার এনআইএ-র তদন্তকারীরা মহম্মদবাজারের ওই বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে সেহগাল হোসেনকে জেরা করেছেন। তার মধ্যেই নলহাটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ফের নানা প্রশ্ন তুলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nalhati
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE