সুনিতা বাগদি। নিজস্ব চিত্র।
জন্ম থেকেই তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম। দৃষ্টিশক্তি নেই এতটুকুও। কিন্তু পুরুলিয়ার সেই দলিত তরুণী এখনও কোনও সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ।
পুরুলিয়া-২ ব্লকের ভাঙ্গড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়চা গ্রামের ১৬ বছরের সুনীতা বাগদি জন্ম থেকেই দৃষ্টিশক্তিহীন। চিকিৎসকের দেওয়া প্রতিবন্ধী শংসাপত্রেও উল্লেখ রয়েছে তিনি ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। অথচ সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিনি।
সুনিতার মা সরস্বতী বাগদির অভিযোগ, মেয়ে জন্মান্ধ হওয়ায় তাঁর আধার কার্ড হয়নি। আধার কার্ড না থাকার ফলে আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করাতে না পারার ফলে রেশনও বন্ধ। শংসাপত্র থাকা সত্ত্বেও মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতা চেয়েও পাননি সরস্বতী। আধার কার্ড না থাকার জন্য ব্যাঙ্কও খাতা খুলতে চায়নি। দু’ভাই দু’বোনের মধ্যে সুনীতা বড়। বাবা অজিত বাগদি এক বার লোহার কাজ করতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর হাত ভেঙে যায়। হাত ভাঙার পর আর তিনি ভারী কাজ করতে পারেন না।
অজিতের হালকা দিন মজুরির কাজে তাঁদের সংসার কোনও মতে চলে বলে জানালেন সরস্বতী। সুনিতার দিন কাটে বাড়িতেই। তবে তিনি গান করতে ভালবাসেন। রেশনের চাল-গম পান? জিজ্ঞাসা করতেই সুনীতা বলেন, ‘‘এখন কিছুই পাই না।’’ কেনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সুনিতা? পুরুলিয়া-২ ব্লকের বিডিও দেবজিৎ রায় বুধবার বলেন, ‘‘আজকেই খোঁজ নিচ্ছি।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সঙ্গীতা সহিস প্রতিবেদককে বলেন ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকেই জানলাম। আমি কালকেই ওঁর বাড়ি যাব। আমাদের পক্ষে যে টুকু করা সম্ভব, আমরা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy