Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

চুক্তিই হয়নি, হল না শিবির

বিডিও (ঝালদা ১) নির্মিতা সাহা বলেন, ‘‘সমবায়ের সঙ্গে চালকলের চুক্তি না হওয়াতেই এই সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।’’ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমনটা হওয়া উচিত নয়। কেন সমন্বয়ের অভাব হল, জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’’

হ্যাপা: ফিরে যাচ্ছেন চাষি। মাঠারি খামারে। নিজস্ব চিত্র

হ্যাপা: ফিরে যাচ্ছেন চাষি। মাঠারি খামারে। নিজস্ব চিত্র

প্রশান্ত পাল 
ঝালদা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৭
Share: Save:

পঞ্চায়েত অফিসে ধান কেনার ঘোষণা শুনে ট্রাক্টর ভাড়া করে বস্তা বস্তা ধান নিয়ে গিয়েছিলেন চাষিরা। কিন্তু, ধান কিনতেই এল না কেউ। ধান বিক্রি তো হলই না, উল্টে ট্রাক্টরের ভাড়া, বস্তা নামা-তোলার খরচ দিতেই ট্যাঁক খালি হয়ে গেল চাষির। ঝালদা ১ ব্লকের মাঠারি-খামার পঞ্চায়েতে ধান কেনা নিয়ে চাষিদের শনিবার এমন দুর্ভোগে কেন পড়তে হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধীদের বক্তব্য, প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবেই এ ভাবে পুরুলিয়া জেলায় ধান কেনা মার খাচ্ছে।

বিডিও (ঝালদা ১) নির্মিতা সাহা বলেন, ‘‘সমবায়ের সঙ্গে চালকলের চুক্তি না হওয়াতেই এই সমস্যা হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।’’ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমনটা হওয়া উচিত নয়। কেন সমন্বয়ের অভাব হল, জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’’

মাঠারি-খামার গ্রাম পঞ্চায়েতে ধান কেনার শিবির খোলা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে শনিবার গরুরগাড়ি, ট্রাক্টর, ভ্যান বোঝাই করে ধান নিয়ে গিয়েছিলেন ডাকাই, খামার, এদেলডি, লুসকুডি, দাঁতিয়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষিরা। মাঠারি গ্রামের রামদাস মাহাতো, কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের ঘোষণা শুনে সকাল থেকে ধান নিয়ে বসেছিলাম। কেউ ধান কিনতে এল না। উল্টে গাড়ি ভাড়া দিতেই পকেট ফাঁকা হয়ে গেল!’’

কেন এমন হল? দায় নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেমন্ত মাহাতো বলেন, ‘‘বিডিও-র নির্দেশিকা অনুসারেই প্রচার করেছিলাম, শনিবার থেকে তিন দিন পঞ্চায়েত অফিসে ধান কেনার শিবির করা হবে। মাঝে রবিবার ছুটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু, যে সংস্থার ধান কেনার কথা তারাই এল না।’’

ব্লকের কে-অপারেটিভ ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় পাখিরা স্বীকার করেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে শনিবার থেকে ঝালদা লার্জড সাইজ়ড মার্কেটিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির (ল্যাম্পস) ধান কেনার কথা ছিল। কিন্তু, তারা না যাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। আমরা ওই সমবায়ের সঙ্গে কথা বলছি।’’

কেন গেলেন না? ঝালদা ল্যাম্পসের ম্যানেজার অনিল কুইরির দাবি, ‘‘আমাদেরই ধান কেনার কথা। কিন্তু, চাল কেনার আগে চালকলের সঙ্গে চুক্তি করার কথা। সে জন্য কাগজপত্র পাঠিয়েছি। চুক্তি সাক্ষরিত না হলে চাল কিনি কী ভাবে?’’

চালকল মালিক সমিতির পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মনোজ ফোগলা বলেন, ‘‘অধিকাংশ সমবায়ের সঙ্গেই চালকলগুলির চুক্তি হয়ে গিয়েছে। অল্প কিছু বাকি আছে। দ্রুত তা হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rice Trading Camp Contract Rice Mill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE