সিউড়িতে বৈঠকের পরে ডেকোরেটার্স মালিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
বারো মাসে তেরো পার্বণ তো আছেই। রয়েছে মেলা, খেলা, সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মাইক বাজে চড়া সুরে। কোথাও কোথাও শব্দদানব ডিজে-র অমাইক অত্যাচারে প্রাণ ওষ্ঠাগত।
শব্দদানবের এমন অত্যাচার রুখতে তৎপর হল সিউড়ি থানার পুলিশ। কোনও ভাবেই অনুষ্ঠানে ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। উৎসব অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করলেও তা যেন নির্দিষ্ট শব্দসীমা অতিক্রম না করে— তা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার সিউড়ি শহরের মাইক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই বার্তাই দিল পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ডিসেম্বরেই জেলা প্রশাসন একই রকম সতর্কবার্তা দিয়েছিল মাইক ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের। কিন্তু তার পরেও সরস্বতী পুজোয় দেদার মাইক বেজেছে। বেশ কিছু মণ্ডপে হাজির ছিল ডিজে। শুক্রবার সিউড়ি থানায় বৈঠকে ডেকে ওই কথাই ফের মনে করিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অধিকাংশের হাতে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নোটিস ধরিয়ে আসে। নোটিস পেয়ে কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। তবে, বৈঠকের পরে ব্যবসায়ীরা পুলিশের সঙ্গে সাহায্য করবেন জানিয়ে দেন। শুক্রবার বিকালে উপস্থিত মাইক ব্যবসায়ী অশিস দাস, চন্দ্রশেখর সাউ, গোপীনাথ সামন্তের কথায়, ‘‘শহরে ডিজে ভাড়া দেওয়ার লোক কম। তবে, হ্যা বেশ কিছু ক্ষেত্রে জোরে বক্স বাজানো হয়। সেটা যাতে না হয়, সেটা দেখব। বিয়ে, অন্নপ্রাশন বা ছোটখাটো অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে সব ক্ষেত্রেই প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।’’ সভা-সমিতির ক্ষেত্রে সেই অনুমতি নেবে আয়োজক সংস্থা। তাঁরা প্রশাসনের ওই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, কেউ অভিযোগ করলে বা নির্দিষ্ট শব্দসীমা (৯০ ডেসিবল) অতিক্রম করছে কিনা নজরদারি করবে প্রশাসন। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাদ্রাসা পরীক্ষা। ৪ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষার ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে, মাইকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে শুক্রবার পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস। মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ওই বৈঠক হয়। যোগ দিয়েছিলেন মহকুমার মাধ্যমিক পরীক্ষার ১৪টি মূল কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রটারি ও ২৯টি উপ-কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজাররা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনর প্রবাল সামন্ত, রামপুরহাট মহকুমা কনভেনর সন্দীপ মণ্ডল, মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-সহ শিক্ষা দফতরের আধিকারিক এবং মহকুমা সহকারী পরিবহণ আধিকারিকেরা। মহকুমাশাসক জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy