কোলিয়ারিতে বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ঘরবাড়ি। বড়জোড়া নর্থ ব্লক কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় কেশবপুর, মনোহরডাঙা পাড়া-সহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনিক তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছিল। এ বার বিশেষ কমিটি গড়ে গ্রামবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সমীক্ষায় নামছে প্রশাসন।
বিডিও (বড়জোড়া) ভাস্কর রায় জানান, ব্লক প্রশাসন, খনি কর্তৃপক্ষ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাত জনের একটি যৌথ কমিটি গড়া হয়েছে। আজ, সোমবার থেকেই কেশবপুর, মনোহরডাঙাপাড়ার মতো গ্রামগুলিতে সমীক্ষা শুরু করার কথা। বিডিও বলেন, “কোলিয়ারিতে বিস্ফোরণের জেরে ওই সব গ্রামের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না এবং ওই গ্রামগুলিকে কোলিয়ারির অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, এই দু’টি বিষয়ের উপরেই মূলত সমীক্ষা চালানো হবে।”
কেশবপুর সংলগ্ন বাগুলি এলাকায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমির উপর গড়ে উঠেছে বড়জোড়া নর্থ ব্লক কোলিয়ারি। ২০১৫ সালে ওই কোলিয়ারিটি ‘ওয়েস্টবেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’-কে (ডব্লউবিপিডিসিএল) বণ্টন করা হয়। চলতি বছর থেকেই ওই কোলিয়ারিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। তবে সে কয়লা মিশে খারা পাথর ফাটাতে গিয়ে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে তার তীব্রতার জেরে আশপাশের গ্রামের ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে বলে অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী।