Advertisement
E-Paper

স্কুলের জলপ্রকল্পে ঢিলেমির অভিযোগ

নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ এলাকার আরও তিনটি স্কুলে ‘কমিউনিটি সার্ভিস’ প্রকল্পে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগী হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৭
থমকে: নলহাটির স্কুলের জলের ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

থমকে: নলহাটির স্কুলের জলের ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য স্কুলের ছাদে সাত মাস আগে রিজার্ভার তৈরি করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই রিজার্ভারে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনও পাইপলাইনের ব্যবস্থা করেনি দফতর। এর ফলে যে উদ্দেশে সরকারি প্রকল্পে লক্ষাধিক টাকা খরচ করা হয়েছে, সেটাই বিফলে যেতে বসেছে। পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্র থেকে শিক্ষকরাও।

নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ এলাকার আরও তিনটি স্কুলে ‘কমিউনিটি সার্ভিস’ প্রকল্পে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগী হয়েছিল। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও প্রকল্পে এক লক্ষ চার হাজার, কোনও প্রকল্পে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। কুরুমগ্রাম বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, স্কুলে ১৩৭ জন ছাত্র। জলের উৎস বলতে একটি মাত্র নলকূপ। সেই নলকূপ থেকে পাড়া, প্রতিবেশীরাও পানীয় জল ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে মিড ডে মিল খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া, থালা ধোওয়ার জন্য নলকূপ ব্যবহার করে ছাত্ররা। কিন্তু, ছাত্র সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময় লাগে।

সময় বাঁচাতে এবং পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে রিজার্ভার তৈরি করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, সেটা এখনও কার্যকর হয়নি। প্রকল্পটি সার্থক হলে মিড ডে মিল খাওয়া থেকে, শৌচালয় ব্যবহারের উপকৃত হবে ছাত্র-শিক্ষকেরা। শিক্ষকেরা জানান, প্রকল্পটি কার্যকর করতে দীর্ঘ দিন ধরেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, নলহাটি ১ ব্লকের বিডিওকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, আধিকারিকরা স্কুল পরিদর্শন করলেও এখনও পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ এগোয়নি।

কেন?

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নলহাটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারি বাস্তুকার প্রশান্ত সরকার জানান, কুরুমগ্রামে চারটি স্কুলে কমিউনিটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। অন্য একটি প্রকল্প চালু করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এলাকায় পাইপলাইন থেকে অবৈধ ভাবে অথবা কোনও পদ্ধতি না মেনে অধিকাংশ বাড়িতে জলের
সংযোগ করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে যে পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আছে সেখানে জল কম পৌঁছচ্ছে। তাতে স্কুলে পানীয় জলের সংযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এর মধ্যেও স্কুলটিতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ এলাকায় অবৈধ ভাবে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ নেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের সতর্ক করছেন তিনি।

water supply School Allegation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy