অমর্ত্য সেন। ফাইল চিত্র।
এই মুহূর্তে দেশের বাইরে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর অবর্তমানে ‘বিতর্কিত’ জমি সংলগ্ন এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেন অমর্ত্যের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। তাঁর অবর্তমানে বিশ্বভারতী যাতে বর্ধিত সময়ে দেয় সেই অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন গোরাচাঁদ। কিন্তু সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে ‘কড়া পদক্ষেপ’ করার দিকে এগোচ্ছে বিশ্বভারতী। তাই অমর্ত্য সেনের অবর্তমানে যাতে তাঁর জমি সংলগ্ন এলাকায় কোনও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় এই মর্মে ১৪৫ ধারা চেয়ে প্রশাসনের কাছে বুধবার আবেদন জানালেন গোরাচাঁদ। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বিষয়ে শান্তিনিকেতন থানা কী রিপোর্ট দেয় তা দেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে প্রশাসন।
বিতর্কিত জমিতে উচ্ছেদের নোটিস নিয়ে অর্থনীতিবিদকে কিছু দিন আগেই চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। অমর্ত্যের আইনজীবীর তরফে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়ে তিন মাসের সময় চাওয়া হয়েছিল। তা অগ্রাহ্য করেই আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়ে শুনানিতে হাজির থাকতে অমর্ত্য সেনকে ফের চিঠি দিল বিশ্বভারতী। শুনানিতে না থাকলে আর কোনও সুযোগ না-ও দেওয়া হতে পারে বলেও চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে চলা জমি বিতর্কে বিশ্বভারতী বারবার দাবি করেছে অমর্ত্য সেনের লিজ নেওয়া জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর নয়, আসলে ১.২৫ একর। অর্থাৎ তিনি ১৩ শতক জমি জবরদখল করে রেখেছেন, যা বিশ্বভারতীর সম্পত্তি। এই মর্মে অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনে আসার পর থেকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে জমি হস্তান্তরের দাবি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই জমি তিনি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। এই মুহূর্তে অমর্ত্য সেন বিদেশে থাকলেও জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া কর্তৃপক্ষ। তাই এমতাবস্থায় প্রশাসন ও বিশ্বভারতী কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy