E-Paper

দেওয়াল চাপা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আহতও

মৃতার ছেলে নিতু সিংহ বলেন, “মাটির কোঠাবাড়িতে থাকতাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিকট শব্দে গোটা বাড়ি ভেঙে পড়ে। বাবা চোখে দেখতে পান না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১
এভাবেই ভেঙ্গে পড়ে মাটির বাড়ি ।

এভাবেই ভেঙ্গে পড়ে মাটির বাড়ি । ছবিঃ অভিজিৎ অধিকারী ।

বৃষ্টিতে মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। আহত হলেন পরিবারের আরও আট জন। শুক্রবার গভীর রাতে কোতুলপুর থানার শিহড়ের শান্তিনাথতলার ঘটনা। মৃতের নাম রবিবালা সিংহ (৭০)। আহতদের কোতুলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তিন জনকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাকিদের ছাড়া হয়। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “অস্থায়ী ভাবে পরিবারের সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা যাওয়ায় সরকারি অনুদানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

গত বছর সেপ্টেম্বরেই বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহে বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তিন শিশুর। সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘কোতুলপুরের মৃতার পরিবারের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ফল এই ঘটনা।’’ পাল্টা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির অভিযোগ, “কোতুলপুরে যত জনের বাড়ি হয়েছে, তার তালিকা ব্লক অফিসে টাঙানো হোক। দেখা যাবে, তৃণমূল নেতারাই বিভিন্ন নামে বাড়ি পেয়েছেন। আবাস যোজনার টাকা বিজেপি আটকায়নি। তৃণমূলের দুর্নীতির জন্যই আটকেছে।’’

মৃতার ছেলে নিতু সিংহ বলেন, “মাটির কোঠাবাড়িতে থাকতাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিকট শব্দে গোটা বাড়ি ভেঙে পড়ে। বাবা চোখে দেখতে পান না। তখন ঘরের বাইরে বেরিয়েছিল। গিয়ে দেখি মা, বউমা, বোন মাটির নীচে চাপা পড়েছে। ভাগ্নী তার ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছিল। তারাও চাপা পড়েছে।” পড়শিরা মাটি সরিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বৃদ্ধাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। বাড়ির সদস্যেরা রাতে আশ্রয় নেন পড়শিদের বাড়িতে। শনিবার তাঁদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়। নিতুর দাবি, “আবাসের তালিকায় নাম থাকলেও বাড়ি তৈরি হয়নি। মা চলে গেল। মাথার ছাদটুকুও রইল না।”

বিডিও (কোতুলপুর) দেবরাজ ঘোষ বলেন, “শুকনো খাবার, চাল-ডাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল রয়েছে।”

এ দিন সকালে কোটশিলার চিতমু গ্রামে ছাদের উপরের গাঁথনি থেকে কয়েকটি ইট পড়ে জখম হয় এক শিশু-সহ ছ’জন। স্থানীয়েরা জানান, তখন সেখানে করম নাচের আসর চলছিল। আহতদের উদ্ধার করে কোটশিলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েক জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kotulpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy