ভাষণ দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা ত্রিদিব। নিজস্ব চিত্র।
গরুপাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই জেলা সভাপতির সুরে ভাষণ দিতে দেখা গেল বীরভূমের আর এক তৃণমূল নেতাকে। দলের নামে বিরোধীরা খারাপ মন্তব্য করলে তাঁদের মেরে ‘মাজা ভেঙে’ দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন ত্রিদিব ভট্টাচার্য নামে ওই তৃণমূল নেতা। তিনি জেলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই বীরভূমে তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সত্যিই এ রকম কিছু ঘটে থাকলে তা দল সমর্থন করবে না।’’
রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি ও সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাট পাঁচ মাথার মোড়েও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে ত্রিদিব বলেন, ‘‘দেখছিলাম, কয়েকটা নেংটি ইঁদুর টিভিতে কত কিছু বলছে! মনে রাখবেন তৃণমূলের কর্মীরা এখনও মরে যায়নি। যদি রাস্তাঘাটে কোনও বিরোধী দলের কেউ তৃণমূলের নামে অশালীন মন্তব্য করেন, তা হলে তৃণমূলের কর্মীরা পিটিয়ে মাজা ভেঙে দেবে।’’
প্রসঙ্গত, গত ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘হুমকি’ ও ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগে বারেবারেই শিরোনামে উঠে এসেছেন অনুব্রত। কখনও ‘পুলিশকে বোম মারুন’, কখনও ‘গুড় বাতাসা’, কখনও ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে’, আবার কখনও ‘ইঁদুরের বাচ্চা, বিষ দিয়ে মারুন’ বা ‘চোখ তুলে নেব’ — এমন সব বুলি আউড়ে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন তিনি। কার্যত সেই সুরেই শুক্রবার ত্রিদিব বক্তৃতা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ত্রিদিবের বির্তকিত ভাষণ প্রসঙ্গে মলয় বলেন, ‘‘আমি ওঁর বক্তব্য শুনিনি। তাই আমি মন্তব্য করব না। তবে দল এই ধরনের ভাষণ সমর্থন করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy