এ বার আস্ত রুপোর পাঁচনই উপহার হিসাবে পেয়ে গেলেন অনুব্রত! —ফাইল চিত্র।
বীরভূম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে একটি সভায় দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে প্রথম তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল সেই লব্জ। বিরোধীদের ‘শায়েস্তা’ করতে নিদান দিয়েছিলেন পাঁচনের বাড়ির। সেই থেকে বীরভূমের বিভিন্ন ব্লকে যেখানেই জনসভা করছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সেখানেই তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসছে পাঁচন লব্জটি!
এ বার আস্ত রুপোর পাঁচনই উপহার হিসাবে পেয়ে গেলেন অনুব্রত!
শনিবার মুরারই ২ ব্লকের সদর পাইকরের হাজরা মাঠে জনসভা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেখানেই সভামঞ্চে তাঁর হাতে দু’টি পাঁচন তুলে দেওয়া হয়। একটি রুপোর তৈরি, অন্যটি বেতের। পাঁচন দু’টি তুলে দেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক এবং পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। যদিও এ দিনের জনসভায় পাঁচন নিয়ে কোনও মন্তব্য তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দারুন পাঁচন। পাঁচনের বাড়ি খেলে যা আরাম লাগবে, বাড়ি গিয়ে বুঝতে পারবে কী আরাম।’’ বিরোধী বিশেষ করে বিজেপি-র উদ্দেশেই তাঁর ওই মন্তব্য বলে দাবি করেছন জেলা তৃণমূলের নেতারা। কারণ, তারাপীঠ থেকে প্রস্তাবিত রথযাত্রা ঘিরে এমনিতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল এবং বিজেপি-র।
আফতাবউদ্দিন বলেন, ‘‘বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করতে চাইছে। সেটা হতে দেব না। তাই জেলা সভাপতিকে পাঁচন উপহার দিয়েছি।’’ তৃণমূলের দাবি, সভায় ২০ হাজার লোক হয়েছিল। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মঞ্চে ছিলেন মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহও। অনুব্রত বলেন, ‘‘কেউ বাড়ি করতে টাকা দেবেন না। কোন পঞ্চায়েতের মেম্বার, প্রধান, আমার পার্টির লোক টাকা চাইলেও না। পুলিশের কাছে যাবেন। বাড়ি আপনাদের ন্যায্য পাওনা।’’ পঞ্চায়েত প্রধানদের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মানুষকে পরিষেবা দেবেন। লাল চোখ দেখাবেন না। আমি কিন্তু ছাড়ব না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy