আড়শায় গনপিটুনিতে যুবক খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের সময়সীমা বেঁধে দিলেন বাসিন্দারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বাসিন্দারা আড়শা থানার সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালেন। পরে থানার সামনে রাস্তাও অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
এ দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহত যুবক ধরণী সিং সর্দারের স্ত্রী শিবানি অচেতন হয়ে পড়েন। পুলিশই তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। এ দিন দুপুরে তিনি সেখান থেকে ছাড়া পান। তাঁর সঙ্গেই ঘটনার আর এক প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বোন গঙ্গা সিং সর্দারকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদিও পুলিশ অভিযুক্তদের মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। শিবানির দাবি, ‘‘পুলিশ আগেই আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তারপরেও সোমবার বিকেলে থানায় ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কি না, জানতে চাইছিলেন পুলিশকর্মীরা। অথচ আমার সম্ভ্রণ বাঁচাতে গিয়ে স্বামী যে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়ে পরে মারা যায়, তা আগেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা অজ্ঞাতপরিচয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই তাদের চিহ্নিত করতে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। দুষ্কৃতীদের সন্ধান পেতে সবরকম সূত্রের খোঁজ করা হচ্ছে।’’
শনিবার একাদশীর রাতে আড়শায় যাত্রা দেখে বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কেন্দুয়াডি গ্রামের বছর তেইশের ওই যুবক। শিবানির দাবি, ‘‘যাত্রাপালার কাছেই একটি দোকানে স্বামী যখন খাবার কিনতে যায়, তখনই কয়েকজন যুবক আপত্তিকর কথা বলে। স্বামী ফিরে এলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হয়। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।’’