কোথাও আকর্ষক ছাড়। আবার কোথাও ছাড়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট মূল্যের কেনাকাটার উপরে নানা উপহারের ডালি সাজানো। তার টানে চৈত্রের শেষ রবিবারে বাজারে ভিড় উপচে পড়ল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়।
এ বারে চৈত্রের গোড়া থেকেই বাজারে ভিড় বেশ জমজমাট। এ দিন তা আরও বেড়েছে। রোদ উপেক্ষা করে বেলা থেকেই দোকানে দোকানে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। রোদ পড়তে তা আরও বেড়েছে। বাঁকুড়া শহরের সুভাষ রোডের রেডিমেড পোশাক ও বেডশিট ব্যবসায়ী সুব্রত সেন বলেন, “চৈত্রের সেল এ বার ভাল হয়েছে। ব্যবসাও জমেছে।” ব্যবসায়ীদের অনেকের মত, অন্য বছরের তুলনায় এ বারে গরমের তীব্রতাও ছিল কিছুটা কম। তাতে ক্রেতারাও বাজারে আসতে উৎসাহী হয়েছেন। বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী ভোলানাথ দত্ত, মধুসূদন চঁদেরা বলেন, “দামে ছাড় তো প্রতি বছরই থাকে। এ বার তীব্র গরম থেকেও রেহাই মিলেছে। সব মিলিয়ে মানুষজন কেনাকাটা করে আনন্দও পেয়েছেন।”
বাঁকুড়ার বাসিন্দা পলাশ সেন, সুপ্রকাশ মাইতিরাও বলেন, “এ মাসে কয়েক দফায় সপরিবার বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করেছি। গরম কম ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।” বাঁকুড়া শহরের বিপণি কেন্দ্রগুলিতেও ভাল ভিড় চোখে পড়েছে। জেলার আর এক পুরশহর বিষ্ণুপুরের বাজারেও ছিল কালো মাথার সারি।
ছবিটা আলাদা ছিল না পুরুলিয়াতেও। পুরুলিয়া শহরের কাপড় ব্যবসায়ী পীযূষ রাজগড়িয়া বলেন, “বাজার খুব ভাল। রবিবার অর্ধদিবস দোকান খোলা থাকে। তবুও এ দিন সকাল থেকে প্রচুর ক্রেতা ভিড় করেছিলেন।” শহরের একটি বিপণির কর্মী সুজয় রানা জানান, বছরভর বিভিন্ন রকম ছাড় থাকে। চৈত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বেচাকেনা ভাল হয়েছে। ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছিল পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোডের একটি পোশাকের বিপণিতে। সেখানে আসা সাধন মাহাতো বলেন, “অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছিল। তাই একটি টিশার্ট কিনলাম।”
বাজার ভাল ছিল ঝালদাতেও। এ দিন সকাল থেকে ঝালদা শহরের কাপড়ের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। বিক্রিবাটা ভালই হয়েছে, জানান ব্যবসায়ীরা। শহরের আনন্দবাজার এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ী দীনেশ সিংহী বলেন, “মোটের উপরে বিক্রিবাটা ভাল হয়েছে। ছাড় পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।” ঝালদা শহর লাগোয়া গোকুলনগর গ্রাম থেকে আসা সুভদ্রা মাহাতোর কথায়, “তিনশো টাকার বেডশিট অর্ধেক দামে পেয়েছি। আর কী চাই!” অন্য বিপণিগুলিতেও
ভিড়ের বহর ছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)