Advertisement
E-Paper

হদিস মিলল সেই সুরভির বাবা-মায়ের

বাঁকুড়া মেডিক্যালে গত ১৫ জানুয়ারি বছর তিনেকের শিশুকন্যা সুরভিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক মহিলা ভর্তি করে দিয়ে যান। তিনি নিজেকে ওই শিশুর মা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ভর্তির পর থেকেই অবশ্য আর হদিস পাওয়া যায়নি ওই মহিলার। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই শিশুর নাম লেখা হয়েছিল সুরভি ও তার বাবার নাম লেখা হয়েছিল সুভাষ বেদ। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল ছাতনা থানার কমলপুর। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৩
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নার্সদের সঙ্গে সুরভি। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নার্সদের সঙ্গে সুরভি। নিজস্ব চিত্র

অবশেষে খোঁজ মিলল সুরভির বাবার। শনিবার বাঁকুড়া চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা ইঁদপুরের ডাঙারামপুর থেকে সুরভির বাবাকে খুঁজে বের করেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে সুরভির বাবার নাম সুভাষ বেদ লেখা থাকলেও চাইল্ড লাইন জানিয়েছে, তাঁর আসল নাম সোহেল বেড।

বাঁকুড়া মেডিক্যালে গত ১৫ জানুয়ারি বছর তিনেকের শিশুকন্যা সুরভিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক মহিলা ভর্তি করে দিয়ে যান। তিনি নিজেকে ওই শিশুর মা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ভর্তির পর থেকেই অবশ্য আর হদিস পাওয়া যায়নি ওই মহিলার। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই শিশুর নাম লেখা হয়েছিল সুরভি ও তার বাবার নাম লেখা হয়েছিল সুভাষ বেদ। ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল ছাতনা থানার কমলপুর।

হাসপাতালের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে সুরভি। সে তার মাকে খুঁজে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সুরভির পরিবারকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, প্রায় দেড় মাস ধরে খোঁজাখুজির পরেও পুলিশ সুরভির পরিবারের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।

সেই খবর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই ওই শিশুর পরিবারের খোঁজ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলপুরে যান চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা। সেখানে গিয়ে সুরভির এক আত্মীয় ও তার বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রোহিনীর খোঁজ পান তাঁরা। প্রথমে রোহিনী চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের কাছে সুরভির বাবা কোথায় তা নিয়ে কোনও তথ্য দেননি।

শনিবার ফের চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা কমলপুরে গিয়ে সুভাষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তখন তিনি জানান, ইঁদপুরের ডাঙারামপুরে তাঁরা রয়েছেন। সুরভির বাবার একটি ছবিও চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন তিনি। বাঁকুড়া চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সজল শীল বলেন, “শনিবার ডাঙারামপুরে আমাদের দুই প্রতিনিধি শুভ্র শীট ও সীমন্ত বাউরি গিয়েছিলেন। তাঁরা এলাকাবাসীকে সুরভির বাবার ছবি দেখিয়ে খোঁজ শুরু করেন। বাসিন্দারাই তাঁদের সেখানে নিয়ে যান।’’

তিনি জানান, সুরভির বাবার আসল নাম সোহেল বেড। তিনি আমাদের কর্মীদের জানিয়েছেন, সুরভির মা লালমতিয়া হুগলি জেলার গুড়াপ রেল স্টেশনের কাছে একটি বস্তিতে থাকেন। সুরভিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে লালমতিয়াকে নিয়ে তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যালে গিয়েছিলেন। কিন্তু, কিছু অসৎ লোকের পাল্লায় পড়ে তাঁরা ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

সজলবাবু বলেন, ‘‘সোহেল জানিয়েছেন, তাঁরা সুরভিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। সে জন্য হাসপাতালেও আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি শিশুকল্যাণ কমিটিকে জানাব। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওই কমিটিই নেবে।’’ বাঁকুড়ার শিশুকল্যাণ কমিটির সদস্য মহিনুর আলম বলেন, “চাইল্ড লাইনের রিপোর্ট এখনও পাইনি। তবে সুরভির বাবাকে খুঁজে পাওয়া গেলে তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে।”

Child Line Child Bankura Medical College
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy