Advertisement
E-Paper

সিপিএম পদ্ম আঁকছে, কটাক্ষ

জেলা পরিষদে কিছুটা স্বস্তি মিললেও গোঁজ কাঁটা মুখ উঁচিয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আশা ছিল, অভিষেক সভা করতে এসে দলের গোঁজ প্রার্থীদের সরে দাঁড়াতে কড়া বার্তা দেবেন। কিন্তু, দু’টি সভায় সেই বার্তা পাওয়া যায়নি বলে আক্ষেপ অনেক নেতার গলায়। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ০০:০১
মানবাজারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভা। নিজস্ব চিত্র

মানবাজারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সভা। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির হয়ে সিপিএমের লোকজনই ভোটের ময়দানে নেমেছেন বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সভা করতে এসে মানবাজারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, জঙ্গলমহলে তাঁদের সংগঠন বেড়েছে। এ প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেন, ‘‘সিপিএমের লোকেরা এখন মাথায় ফেট্টি বেঁধে দেওয়ালে পদ্ম আঁকছেন। জঙ্গলমহলে যখন অশান্তি ছিল, তখন তো বিজেপিকে দেখা যায়নি। তখন জঙ্গলমহলে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই গিয়েছিলেন।’’

বস্তুত, পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের বলরামপুর ও বরাবাজার একসময়ে সিপিএমের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। সেখানেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ হয়। সিপিএমের প্রার্থী এ সব এলাকায় কম। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সিপিএম ছেড়ে অনেকেই তাঁদের দলে এসেছেন। সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা বরাবাজারের বাসিন্দা মণীন্দ্র গোপের অবশ্য দাবি, ‘‘সিপিএম কর্মীরা তাঁদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। যদি অভিষেক দেখাতে পারেন, আমাদের কেউ পদ্মফুল আঁকছেন, তা হলে তাঁকে আমরা দল থেকে বহিষ্কার করে দেব।’’

ঘটনা হল, পুরুলিয়া জেলার যে প্রান্তেই হোক, এত দিন অভিষেকের সভা মানেই, মাঠ উপছে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। কিন্তু, এ দিন দুপুরে বরাবাজারে তাঁর সভাস্থলে সেই চেনা ভিড়ের ছবি দেখা যায়নি। যা দেখে অভিষেকের সামনেই অস্বস্তিতে পড়েন অনেক নেতা। সে তুলনায় মানবাজারের রাইসমিল মোড়ে তাঁর সভায় ভালই ভিড় হয়েছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বরাবাজারে দুপুরে সভা হওয়ায়, ভিড় কিছুটা কম হয়েছে।

জেলা পরিষদে কিছুটা স্বস্তি মিললেও গোঁজ কাঁটা মুখ উঁচিয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আশা ছিল, অভিষেক সভা করতে এসে দলের গোঁজ প্রার্থীদের সরে দাঁড়াতে কড়া বার্তা দেবেন। কিন্তু, দু’টি সভায় সেই বার্তা পাওয়া যায়নি বলে আক্ষেপ অনেক নেতার গলায়।

জেলা পরিষদের বেশ কিছু আসনে গোঁজ প্রার্থীদের শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করানো গেলেও পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেক আসনেই ছবিটা বিশেষ বদলায়নি। দলের এক জেলা নেতার আক্ষেপ, ‘‘অভিষেক এক বার অন্তত গোঁজ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারতেন। তা হলেই কাজ হতো।’’ দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলছেন, ‘‘যাঁরা দলীয় প্রতীক না পেয়েও দলের হয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁদের বুঝিয়ে লড়াই থেকে সরানো হচ্ছে।’’

West Bengal Panchayat Election 2018 West Bengal Panchayat Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy