জীর্ণ-ফাটলধরা: বিষ্ণুপুর শহরের কুমারীটকি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
সারেঙ্গার ফতেডাঙা চিন্তায় ফেলেছে বিষ্ণুপুরের কুমারীটকিকেও। বিষ্ণুপুর পুরসভার দু’টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মিত হয়েছে কুমারীটকি এলাকায়। একটির অবস্থা শোচনীয় বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।
পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে তৈরি হয়েছিল ৩ লক্ষ ৪১ হাজার লিটারের রিজ়ার্ভারটি। বছর দশেক ধরে সেটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের একাংশ। হামেশাই চাঙড় খসে পড়ছে। উপরে উঠে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা তো দূর, নীচে পাম্প চালাতে যেতেও ভয় পাচ্ছেন সোমনাথ চৌধুরী, মন্টু খান, লক্ষ্মীকান্ত কর্মকারেরা।
প্রথমে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আওতায় থাকলেও এখন রিজ়ার্ভারটি পুরদফতরের অধীনে চলে এসেছে। বিষ্ণুপুর শহরের কলেজরোড, সঙ্কটতলা, কাটানধারের মতো নানা এলাকার পানীয় জলের একমাত্র উৎস এটি। এখানেই রয়েছে পাম্প। বেহাল রিজ়ার্ভারের কিছু হলে পাম্পহাউসও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে পাশের অন্য রিজ়ার্ভারটিরও।
সকাল ও বিকেলে দু’দফায় পুরকর্মীরা রিজ়ার্ভার দেখভাল করেন। পুরসভার অস্থায়ী কর্মী শীতলচন্দ্র রায় বলেন, “অনেক দিনের পুরনো ট্যাঙ্ক। লোহার রডের খাঁচা বেরিয়ে পড়েছে। এমনিতেই দিনরাত কংক্রিটের চাঙড় ছেড়ে পড়ছে। প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করি। বারবার পুরদফতরকে জানিয়েও লাভ হয়নি। সারেঙ্গায় ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।’’
চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় মানুষজনও। এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ লোহার, বিশ্বজিৎ রক্ষিতেরা বলেন, “প্রতিদিন সকাল-বিকেল রিজ়ার্ভারের সামনে কয়েকশো মানুষ আড্ডা দেন। বেহাল পুরানো ট্যাঙ্কটি ভেঙে ফেলা উচিত। রাতবিরেতে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়লে বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা।’’ বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরএলাকার বিভিন্ন জায়গায় নতুন জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। কুমারীটকি মোড়ের পুরানো জলের ট্যাঙ্কটি মেরামতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy