শুধু মন্দির দর্শন নয়, তার সাথে বিষ্ণুপুর ঘরানার গানের রস আস্বাদন করতে পারবেন পর্যটকেরা। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে রাত পোহালে বিষ্ণুপুরে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’।
বুধবার তারই প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। ছিলেন অন্যান্য সরকারি আধিকারিকেরাও।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ আর রাসমঞ্চ চত্বর জুড়ে চলবে তিন দিনের সঙ্গীতের মেলা। শুক্রবার বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দুপুর তিনটে-তে উদ্বোধন হবে। তারপরে রাসমঞ্চ চত্বরে তিন দিক খোলা অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন থাকছেন শিল্পী অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মণিলাল নাগ। শনিবার সকালে রাসমঞ্চ চত্বরে আলি হায়দার খানের সানাই দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে বিষ্ণুপুরে স্থানীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পীরা এবং রামশরণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় পরিবেশন করবেন বিষ্ণুপুর ঘরানার গান। সন্ধ্যায় মনোজ মুরলি নায়ার এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠান করবেন। শেষ দিন রবিবার সকালে শিউলি বসুর এস্রাজ দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। থাকছে ধ্রুপদ ও প্রাণায়ম বিষয়ক কর্মশালা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। রবিবার সন্ধ্যায় রাসমঞ্চ মাতবে সৌমিত্র লাহিড়ীর সেতার বাদন, গুন্ডেচা ব্রাদার্সের সঙ্গীত এবং সাবির খানের তবলার অনুষ্ঠান।
বেশ কয়েক দিন ধরেই বিষ্ণুপুর শহর জুড়ে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। মন্দির সংলগ্ন রাস্তাগুলি ঢালাই করা হচ্ছে।
কিন্তু রাসমঞ্চ চত্বরের পাশেই আবর্জনা পড়েছিল বুধবারও। তা দেখে বিষ্ণুপুর পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলাশাসক। তারপরেই দেখা যায়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাফ সুতরো শুরু হয়ে যায়। বিকেলে জল ছেটানো, নোংরা তুলে ফেলার কাজ শুরু হয়। রাসমঞ্চ লাগোয়া ময়লার উপর ব্লিচিং ছেঁটানোর কাজ চলছে দেখে বিষ্ণুপুরের সাধারণ মানুষ খুশি হন। বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল বিষ্ণুপুরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। আবার শুরু হতে যাচ্ছে দেখে খুশি সঙ্গীতপ্রেমীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy