—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার তপন ও সুরফুলা গ্রামের কাছে। মাথা ছাড়াও শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত পেয়েছেন ওই নেতা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জখম যুবকের নাম সুজিত হালদার। তাঁর বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে। বীরভূমের হাসন-২ এলাকার বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি তিনি। সুজিতের দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার মোবাইল সারানোর জন্য একটি দোকানে গিয়েছিলেন ওই নেতা। রাত ৯টা নাগাদ তিনি রামপুরহাট থেকে মোবাইল মেরামত করে মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তপন এবং সুরফুলা গ্রামের মাঝামাঝি চার দুষ্কৃতী বিজেপি যুব নেতার পথ আটকে দাঁড়ায়। তাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল।
জখম বিজেপি নেতার অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকে বলেন, ‘‘বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপি নেতা হয়েছিস।’’ এই কথা বলতে বলতেই অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান রাস্তায়। পথচলতি কয়েক জন জখম সুজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর যায় তাঁর পরিবার এবং দলের কাছে। বর্তমানে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে খবর, এ নিয়ে মাড়গ্রাম থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, সদ্য সমাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সমাজমাধ্যমে তিনি সক্রিয়। সেখানে দলের প্রচার করেন। তাই শাসকদলের লোকজন যুব বিজেপি নেতাকে খুনের চেষ্টা করেছেন। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির কাছে মানুষের সমর্থন নেই। তাই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সমর্থক বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আদতে কী ঘটেছে, তা পুলিশ তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy