Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সৌমিত্র-সুজাতা একসঙ্গে বিচারকের ঘরে, রাজনীতির পরে সাংসারিক বিচ্ছেদও কি পাকা হয়ে গেল?

পরিস্থিতি বদলে যায়। বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। তখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে সৌমিত্র জানিয়ে দেন, সুজাতার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না তিনি।

সৌমিত্রের কাছে তাঁর কোনও দাবি নেই বলে জানালেন সুজাতা।

সৌমিত্রের কাছে তাঁর কোনও দাবি নেই বলে জানালেন সুজাতা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১১
Share: Save:

বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। এর আগে দু’জনেই পৃথক পৃথক ভাবে আদালতে হাজির হয়ে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’-এর মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার। দুপুরে আলাদা ভাবে আদালতে এলেও একই কক্ষে শুনানির জন্য হাজির হন তাঁরা। বিচারক তাঁদের কাছে এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান কি না, প্রশ্ন করলে দু’জনেই বিচ্ছেদের কথা বললেন।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র সুজাতাকে বিয়ে করেন গত ২০১৬ সালে ১ জুলাই। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলত্যাগী সৌমিত্র একটি মামলার প্রেক্ষিতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেয়নি আদালত। বিজেপির টিকিটে সৌমিত্রকে জেতানোর মূল কারিগর ছিলেন যে স্ত্রী সুজাতাই ছিলেন, সে কথা নিজেও স্বীকার করেছেন সৌমিত্র। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায়। বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে সৌমিত্র জানিয়ে দেন, সুজাতার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না তিনি। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে সম্পর্ক ছেদের আবেদন জানান বিজেপি সাংসদ।

ওই মামলারই অঙ্গ হিসাবে সোমবার ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’-এর শুনানি হল বাঁকুড়া জেলা আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ২ জনের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতের বাইরে সুজাতা বলেন, ‘‘এই বিচ্ছেদে আমার কোনো দাবিদাওয়া নেই। বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত চাইলে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হবে।’’ অন্য দিকে, সৌমিত্র খাঁ একে ‘ব্যাক্তিগত বিষয়’ বলে এড়িয়ে যান।

সাংসদের আইনজীবী সোমনাথ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। আজ (সোমবার) তারই শুনানি হয়েছে। আদালত দু’পক্ষের কাছেই তাঁদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী কি না, তা জানতে চায়। দু’পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদের ব্যাপারে আদালতের কাছে তাঁদের সম্মতির কথা জানিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE